ইরাকে মিথেন গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে তুরস্কের অন্তত ১২ সেনা নিহত হয়েছেন। দেশটির উত্তরাঞ্চলের একটি গুহায় তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় এসব সেনা প্রাণ হারান। গতকাল তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুর্দি যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে তুরস্কের আলোচনার মাঝে ইরাকে অভিযানে নিয়োজিত ওই তুর্কি সেনারা নিহত হন। সম্প্রতি সশস্ত্র গোষ্ঠী পিকেকের যোদ্ধারা দীর্ঘদিনের সশস্ত্র লড়াই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে কালো তালিকায় রয়েছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। ১৯৮৪ সাল থেকে কুর্দিদের জন্য একটি স্বতন্ত্র দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে আসছে এই গোষ্ঠীটি। কুর্দিরা তুরস্কের ৮ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ। তবে সম্প্রতি এই গোষ্ঠীটি স্বাধীনতার তুলনায় আরও স্বায়ত্তশাসন এবং সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত অধিকারের আহ্বান জানিয়েছে। ১৯৮৪ সালে তুরস্কের সেনাবাহিনী ও পিকেকের মাঝে শুরু হওয়া যুদ্ধে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ২০২২ সালের মে মাসে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় একটি গুহায় কুর্দি যোদ্ধাদের গুলিতে নিহত এক সেনার মৃতদেহের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল তুরস্কের সামরিক বাহিনী। ওই সময় সেখানে মিথেন গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে সেনারা মারা গেছেন। তবে নিখোঁজ সেনা সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘মিথেন গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে আমাদের আরও চারজন বীর সেনা সহকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন...। ফলে এ ঘটনায় সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে পৌঁছেছে।’ -বিবিসি, আনাদোলু এজেন্সি, এএফপি।