পাকিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টি ও সৃষ্ট বন্যায় কমপক্ষে ১১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ২১১ জনেরও বেশি। গত ২৬ জুন থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৫৩ শিশু, ৩৯ পুরুষ এবং ১৯ জন নারী রয়েছে। এ ছাড়া সোমবার খানেওয়ালে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর আহত হয়েছেন মোট ২১১ জন, যার মধ্যে ৮১ পুরুষ, ৮২ শিশু এবং ৪৮ জন নারী। বৈরী আবহাওয়া কেবল মানুষের জীবনকেই প্রভাবিত করেনি; বরং এর ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। আকস্মিক বন্যা ও ভারী বর্ষণের কারণে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা এবং ৯টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে ১৪৫টি বাড়ি এবং ৩১০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশে। প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারণে ৪৪ জন নিহত এবং ১৩৪ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ছয়টি গবাদি পশুও মারা গেছে। প্রদেশটিতে ভবন ধসে ২৭ জন, বজ্রপাতে পাঁচজন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চারজন মারা গেছেন। এ ছাড়া বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে ডুবে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। -ডন