২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৮:১২

রজব মাসের আমল

মো. আবু তালহা তারীফ

রজব মাসের আমল

প্রতীকী ছবি

আসুন, আমরা প্রথমেই পাঠ করি মূল্যবান এই দোয়াটি, আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রজাবা ওয়া শাবান ওয়া বাল্লিগনা ইলা সাহরি রমাদান। অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত হায়াত বৃদ্ধি করে দিন। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন রজব মাস শুরু হতো তখন রসুল (সা.) বেশি বেশি করে দোয়াটি পড়তেন। (নাসায়ি) রসুল (সা.) বলেছেন, রজব আল্লাহর মাস, শাবান আমার মাস এবং রমজান আমার উম্মতের মাস। এজন্যই হজরত আবু বকর বলখি (রহ.) বলেন, রজব ফসল রোপণের মাস, শাবান ফসলে পানি সেচ দেওয়ার মাস আর রমজান হলো ফসল ঘরে তোলার মাস। তিনি আরও বলেন, ‘রজব মাস ঠান্ডা বাতাসের মতো, শাবান মেঘমালার মতো আর রমজান হলো বৃষ্টির মতো।’ (লাতায়েফুল মাআরেফ) আশহুরে হুরুমের মাসে যে কোনো নেক আমলের সওয়াব অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি হতে পারে বিধায় এ মাসে সওয়াবের নিয়তে নফল রোজা রাখা যেতে পারে। এ সম্পর্কে ইমাম গাজ্জালি (রহ.) তাঁর বিখ্যাত মুকাশাফাতুল কুলুব গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ‘বেহেশতে রজব নামে একটি ঝরনা আছে। এর পানি দুধের চেয়ে সাদা ও মধুর চেয়ে মিষ্টি আর বরফের চেয়ে ঠান্ডা। যে রজব মাস রোজা রাখবে তাকে সেই পানি পান করানো হবে।’ মহান আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি অন্যায় থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। মিথ্যা বলা, অন্যের হক নষ্ট করা, নামাজ কাজা করাসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে বেশি যত্নবান হতে হবে। ইমাম আবু বকর জাসমান (রহ.) বলেন, ‘আশহুরে হুরুমের মাসে ইবাদতের প্রতি যত্নবান হলে বাকি মাসগুলোয় ইবাদত করা সহজ হয় এবং এ মাসগুলোয় গুনাহ থেকে বেঁচে থাকলে অন্য মাসে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়।’ (আহকামুল কোরআন : তৃতীয় খণ্ড)

রজব মাস থেকেই রসুল (সা.) মাহে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। রজব ও শাবান মাসে তিনি অধিক নফল রোজা ও মহান আল্লাহর গুণগানে কাটাতেন। তাই আমাদের উচিত আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করে এই রজব মাসে আমাদের জীবন অতিবাহিত করা। তাই রজব মাসে আমরা যেন আমাদের মূল্যবান সময় কাজে লাগাতে পারি আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক দান করুন।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর