আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলেতে শুনেছি, ‘কোনো বান্দা পাপে লিপ্ত হলো অথবা বলেছেন, কোনো পাপ করল। অতঃপর বলে, হে আমার রব, আমি পাপ করেছি অথবা বলে, পাপে লিপ্ত হয়েছি, আমাকে ক্ষমা করুন। তার রব বলেন, আমার বান্দা কি জানে তার রব রয়েছেন, যিনি পাপ ক্ষমা করেন ও তার জন্য পাকড়াও করেন? আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম। অতঃপর আল্লাহ যে পরিমাণ চান সে বিরত থাকে।
অতঃপর পাপে লিপ্ত হয় অথবা পাপ সংগঠিত করে, অতঃপর বলে, হে আমার রব! আমি দ্বিতীয় পাপ করেছি অথবা দ্বিতীয় পাপে লিপ্ত হয়েছি, আপনি তা ক্ষমা করুন। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা কি জানে তার রব রয়েছেন, যিনি পাপ ক্ষমা করেন ও তার জন্য পাকড়াও করেন? আমার বান্দাকে আমি ক্ষমা করে দিলাম। অতঃপর আল্লাহ যে পরিমাণ চান সে বিরত থাকে। অতঃপর কোনো পাপ করে অথবা বলেছেন, পাপে লিপ্ত হয়।
তিনি বলেন, সে বলে—হে আমার রব, আমি পাপ করেছি অথবা পাপে লিপ্ত হয়েছি আবারও, আপনি আমার জন্য তা ক্ষমা করুন। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা কি জানে তার রব রয়েছেন, যিনি পাপ ক্ষমা করেন ও তার জন্য পাকড়াও করেন? আমি আমার বান্দাকে তিনবারই ক্ষমা করে দিলাম, সে যা চায় আমল করুক।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৫০৭)
আলোচ্য হাদিসের শিক্ষা হলো, মুমিন আল্লাহর দয়া ও ক্ষমা লাভের ব্যাপারে কখনো নিরাশ হবে না। অসংখ্য অগণিত ভুল হওয়ার পরও সে আল্লাহর দরবারে ফিরে আসবে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
কেননা আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে ভালোবাসেন।
আল্লাহ সবাইকে সঠিকভাবে তাওবা করার তাওফিক দিন। আমিন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ