মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র 'অনিল বাগচীর একদিন' কলকাতায় প্রদর্শিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার গোর্কী সদন’র অডিটোরিয়ামে ১২০ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়। বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন মোরশেদুল ইসলাম। অনিল বাগচি’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরেফ সৈয়াদ। এছাড়াও গাজী রাকায়েত, তৌফিকুল ইসলাম ইমন, জ্যোতিকা জোতি, ফারহানা মিঠুর মতো শিল্পীরাও এতে অভিনয় করেছেন। সঙ্গীত পরিচালনা করেছে সানি জুবায়ের। যৌথভাবে কলকাতায় চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনায় ছিল কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এবং গোর্কি সদন কর্তৃপক্ষ। চলচ্চিত্রটি উপভোগ করতে এদিন দর্শকাশনও ছিল প্রায় পরিপূর্ণ।
চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে এর পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম জানান, এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের একটি ঘটনা কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে গতানুগতিক যে গল্প সেটি এখানে নেই। এটি ভিন্ন মাত্রায়, মুক্তিযুদ্ধের অন্য একটি আঙ্গিক এখানে ধরার চেষ্টা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস একটা দুর্বিসহ যন্ত্রণার মধ্যে আমাদের যেতে হয়েছে; সেই সময়কার কথা, একইসঙ্গে গল্পটিতে মানবিক আবেদনও আছে এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা বলা হয়েছে যেটা এই মুহুর্তে বলাটা খুবই জর’রি বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।’
পরিচালক আরো জানান, ‘গত ১১ ডিসেম্বর চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কার কলম্বো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র, ব্যাঙ্ককের ফিল্ম ফেস্টিভালে এই চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছে। আমি চাই, আমার এই মুভিটি বাংলাদেশের মানুষ বেশি করে দেখুক কারণ আমার মনে হয় আমার দেশের মানুষ যত বেশি দেখবেন তত মুক্তিযুদ্ধকে জানতে পারবে, আমাদের যে লড়াই ছিল কিংবা মুল আদর্শ ছিল-সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ, নতুন প্রজন্মের মানুষ সেটা জানতে পারবে।’
একজন দর্শক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই চলচ্চিত্রটির প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারি (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল। তিনি বলেন, ‘সচরাচর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রগুলোকে যেভাবে দেখানো হয় এটা সেরকম নয়, একটু অন্য আঙ্গিকে দেখানো হয়েছে। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী যে পরিমান ভয়াবহতা তৈরি করেছিল-সেই পরিপ্রেক্ষিতে একজন ভীত মানুষও সেই ভয়ের বেড়াজাল ভেঙে একজন প্রতিবাদী চরিত্র হয়ে উঠতে পারে পরিচালক সেই বিষয়টিকে অত্যন্ত চমৎকারভাবে তুলে তুলেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ ডিসেম্বর ২০১৫/শরীফ