দূরত্ব ঘুচিয়ে মুকুল রায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফের কাছাকাছি আসার সুযোগটা ফের নষ্ট করলেন মুকুল রায় নিজেই। শনিবার কালীঘাটের বাড়িতে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা নেতাদের বৈঠকে মুকুলকেও আসতে বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু সেই আমন্ত্রণ উপেক্ষা করেই মুকুল দিল্লি চলে যাওয়ায় জলঘোলা শুরু হয়েছে দলের ভিতরে।
মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতাদের বক্তব্য, এ ভাবে ভোটের আগে তাঁকে কাছে টেনে কার্যত মুকুলের পৃথক রাজনৈতিক পরিচয়টা নষ্ট করে দিতে চাইছেন মমতা। মুকুল শিবিরের আশঙ্কা, বিধানসভা ভোটে তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফের তাঁকে ঝেড়ে ফেলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত এক বছর ধরে দলে কার্যত একঘরে হয়ে থাকলেও মুষ্টিমেয় কয়েকজন নেতা দুর্দিনেও সঙ্গ ছাড়েননি তাঁর। গত বেশ কয়েক দিনে, বিশেষত দিল্লিতে মমতার আমন্ত্রণে মুকুলের নৈশভোজে যোগ দেওয়ার পর থেকে রাজ্য রাজনীতিতে ফের যে ভাবে মুকুলের তৃণমূলে গুরুত্ব ফিরে পাওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছে তাতে বিরক্তি ও দুশ্চিন্তা বেড়েছে মুকুল-ঘনিষ্ঠদের।
মমতার দীর্ঘদিনের সঙ্গী হওয়া সত্ত্বেও নেত্রীর এই সাম্প্রতিক হূদয় পরিবর্তন তাঁর রাজনৈতিক কৌশল কি না, তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নন মুকুল নিজেও। সেই কারণেই ঘনিষ্ঠদের আশঙ্কাকে উপেক্ষা করতে পারছেন না তিনি।
গতকাল কালীঘাটে উত্তর ২৪ পরগনার সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ বিভিন্ন স্তরের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে সতর্ক করলেও অন্যান্য দিনের মতো বিধ্বংসী মেজাজে দেখা যায়নি মমতাকে। বিধানসভা ভোটের আগে গত বেশ কয়েকটা শনিবার ধরে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের ডেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে কড়া বার্তা দিচ্ছেন মমতা।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ ডিসেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন