শুধুমাত্র চিকিৎসা বা ভ্রমণের উদ্দেশে নয়, সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতা শহরে ডাকাতি করতেও যায় অনেক বাংলাদেশি ডাকাতদল। আবার কাজ সেরে ফিরে আসে নিজ দেশে। এমনই একটি দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা উদঘাটন করেছে কলকাতা পুলিশ।
দেড় বছর আগের একটি ঘটনার সূত্রপাত ধরে খবরে বলা হয়, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের শেষ দিকে ডাকাতি হয় হরিদেবপুর থানা এলাকার এক সোনার দোকানে। সাত জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী সোনা এবং রুপা মিলিয়ে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা লুট করে। শুধু তাই নয় নগদ ৬০ হাজার টাকা নিয়েও চম্পট দেয় ডাকাতদল। তদন্তের প্রাথমিক অবস্থায় ধোঁয়াশায় থাকলেও ধীরে ধীরে অগ্রগতি হয় তদন্তের। ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় আবু বরকত হোসেন ওরফে তুতুন নামের এক ব্যক্তিকে। বছর ৩৭-এর এই তুতুনের বাড়ি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলার শাসন থানা এলাকার পটলডাঙ্গায়। তুতুনের কাছ থেকে উদ্ধার হয় লুট হওয়া মালের কিছু অংশ।
আটককৃতকে জেরা করে উঠে আসে আরও অভিযুক্তদের নাম। সেই সূত্রেই পুলিশের জালে ধরা পরে আরও দুই অভিযুক্ত। একজন শম্ভু অধিকারী (৫০) এবং মোহাম্মদ সেলিম (৫৮)। শম্ভুর বাড়ি বাংলাদেশের যশোর জেলার নোয়াপাড়ায়। আর মহম্মদ সেলিম বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা। দু’জনেই সীমান্ত পেরিয়ে বসিরহাটের ইতিন্দা গ্রামে বসবাস করছিল। এই দু’জনকে বসিরহাট চৌমাথায় টাকি রোডের উপরে ব্যানার্জী জেরক্সের সামনে থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের থেকেও লুট হওয়া মালের বেশ কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গেছে।
আটককৃত তিনজনকেই শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। আবু বরকতকে চলতি মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি দু’জনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদের জেরা করে দলের বাকি সদস্যদের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও এই ডাকাতদল ডাকাতি করেছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/৫ মার্চ ২০১৭/হিমেল