পুলিশের ভুঁড়ি কমানো, শারীরিক দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ কী করে? তার লিখিত জবাব পেয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করল ভারতীয় হাইকোর্ট। এ কারণে নতুন করে আবারও এ বিষয়ে জবাব দিতে বলে বলা হয়েছে। এমনকী রাজ্য পুলিশ এলাকার যে কোনো দুটি থানা এবং কলকাতা পুলিশ এলাকার যে কোনো দুটি থানার সব কর্মী ও কর্মকর্তার সম্পূর্ণ মাসে ফিটনেস রক্ষার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা কী? তারও লিখিত জবাব চেয়েছে ভারতীয় হাইকোর্ট।
কমল দে’র করা জনস্বার্থ মামলার জেরে এর আগে্র দু’দুবার জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। পুলিশ সদস্যদের মেদ ও হাড়ের সমন্বয় কীরকম, তার মেডিক্যাল রিপোর্টও চেয়েছে। সরকারি জবাব থেকে হাইকোর্ট জানতে পারে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেয়ার পর কনস্টেবলদের ছয় মাস, মাঝারি অফিসারদের এক বছর এবং ওপর মহলের অফিসারদের দু’বছরের নানরকম প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এরপর আর কোনো রিফ্রেশার কোর্স হয় না।
সরকারি আইনজীবী অবশ্য আদালতকে জানিয়েছিলেন, শারীরিক সক্ষমতা রক্ষার জন্য পুলিশ সদস্যদের নানারকম খেলাধুলার ব্যবস্থা আছে। তা শুনে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে বলেন, সে সব করলে কী এরকম ভুঁড়ি হয়?
সূত্র: আজকাল
বিডি-প্রতিদিন/০৯ এপ্রিল, ২০১৭/মাহবুব