দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের সংবেদনশীলতা ও দুর্বলতাগুলোর দিকে নজর দেওয়া উচিত এবং পারস্পরিক সহায়তা ও সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বৃহত্তর রাজনৈতিক ইচ্ছা প্রকাশ করা উচিত। রবিবার নয়াদিল্লিতে সিভিল সার্ভিসেস অফিসার’র ইন্সিটিটিউট কর্তৃক আয়োজিত 'ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ রিলেশন' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসাবে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার হাই কমিশনের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মোয়াজ্জেম আলী আরো বলেন ‘ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি বন্টন সমস্যার সমাধান করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন তিস্তার পানি বন্টন সমস্যার জট ছাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন’।
গত এপ্রিল মাসেই দিল্লি সফর করেছেন শেখ হাসিনা। হাসিনার এই সফরে তিস্তা চুক্তির প্রবল সম্ভাবনা থাকলেও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। যদিও এই চুক্তি নিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমন এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি এই কূটনীতিকের এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মোয়াজ্জেম আলী বলেন ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের সাথে একটি গঠনমূলক সহযোগিতার নীতিমালা অনুসন্ধান করছেন এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে সংলাপের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমস্ত বকেয়া সমস্যা মেটানো সম্ভব এবং নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন সুযোগ তৈরি করা সম্ভব’।
তিনি আরো জানান, ঢাকা-দিল্লি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই সন্ধিক্ষণে পৌঁছানোর কারণ হল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৌশলগত ও বাস্তববাদী পদক্ষেপ নেওয়া। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিও দুই দেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিরাজ করছে বলে যে মন্তব্য করেছিলেন সেই প্রসঙ্গটিও তোলেন মোয়াজ্জেম আলী।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে যৌথবাহিনীর সাহস ও উদ্দমতা এখন পর্যন্ত দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘ফাউন্ডেশন স্টোন’ হিসাবে রয়েছে এবং আমরা চিরদিনই এর ওপর আস্থা রাখবো।
বিডি প্রতিদিন/৮ মে ২০১৭/হিমেল