কালবৈশাখী ঝড়ের প্রকোপে পড়ে কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এনএসসিবিআই) নামতেই পারলো না বাংলাদেশি বিমান, ঘুরে তা ফের চলে যায় ঢাকায়। শুধু বাংলাদেশই নয়, ঝড়ের প্রকোপে পড়ে আরেকটি বিদেশি বিমানের পাশাপাশি একাধিক আভ্যন্তরীণ বিমানও তখনও কলকাতার মাঝ আকাশে ঘুর পাক খেয়ে ফিরে যায়।
রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ থেকে ৮টা ৩৫ মিনিট। কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে তখন ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। সেই সঙ্গে চলছে ভারী বৃষ্টি। হাওয়ার দাপটে কোথাও বিদ্যুতের তার, কোথাও বা গাছ উপড়ে পড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত। খারাপ আবহাওয়া ও ঝড়ো বাতাসের কারণেই বিমান ওঠা-নামায় প্রভাব পড়ে কলকাতা বিমানবন্দরেও।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, সন্ধ্যায় ৫০ মিনিটের মধ্যে কলকাতা বিমাবন্দরে অবতরণের জন্য আকাশে একই সঙ্গে ঘুরপাক খেতে থাকে ১১টি বিমান। এর মধ্যে ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, ভিসতারা এবং এয়ার ইন্ডিয়া’এর ৯টি আভ্যন্তরীণ বিমান ছাড়াও ছিল ২টি আন্তর্জাতিক বিমানও। মূলত সন্ধ্যার ওই সময়টাতেই বিমানবন্দরে আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানের ওঠা-নামার ক্ষেত্রে ব্যাপক চাপ থাকে। কিন্তু কোনো রকম দুর্ঘটনা এড়াতে একের পর এক ঘুরিয়ে দেওয়া হয় সেগুলিকে। চারটি আভ্যন্তরীণ বিমানকে ভুবনেশ্বর, দুইটি করে আভ্যন্তরীণ বিমানকে আগরতলা ও গুয়াহাটি এবং একটি আভ্যন্তরীণ বিমানকে রাঁচিতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
দমদম বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, ‘বিমানগুলি কলকাতার আকাশে ঘুরপাক খেতে থাকে, সেগুলিকে অবতরণ করা সম্ভব হচ্ছিল না এবং যে বিমানগুলির জ্বালানী কম ছিল সেগুলিকে জ্বালানী ভরানোর জন্য পার্শ্ববর্তী বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার পর ফের কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয়।
আভ্যন্তরীণ বিমানের পাশাপাশি দুইটি আন্তর্জাতিক বিমানকেও ঢাকায় ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতাগামী বাংলাদেশ বিমান, অন্যটি ইতিহাদ বিমান সংস্থার।
রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের পর থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় কলকাতা বিমানবন্দরে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর প্রথমে নাগপুর থেকে কলকাতার মাটি স্পর্শ করে ইন্ডিগোর একটি বিমান।
বিডি-প্রতিদিন/০২ এপ্রিল, ২০১৮/মাহবুব