‘নারদা’ স্টিং অপারেশন মামলায় গ্রেফতারকৃত পশ্চিমবঙ্গের দুই মন্ত্রীসহ চার হেভিওয়েট নেতার অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার শুনানি শেষে ব্যক্তিগত ২ লাখ রুপির বন্ডে রাজ্যটির পরিবহন ও আবাসন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র এবং কলকাতার সাবেক মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়’এর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ।
এদিন বেলা ১১ টা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই শর্তসাপেক্ষে ওই চার নেতা-মন্ত্রীর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে আদালত। তাদের প্রত্যেককেই ব্যক্তিগত ২ লাখ রুপির বন্ডের পাশাপাশি এই মামলা নিয়ে তাদের কেউই গণমাধ্যমের সামনে কোনোরকম মুখ খুলতে পারবেন না বলেও শর্ত দেওয়া হয়। একইসাথে আদালতের তরফে এও জানানো হয় যে তদন্তকারী কর্মকর্তারা যখনই ডাকবেন, তখনই তাদের সহযোগিতা করতে হবে, এই মামলা সম্পর্কিত কোনও তথ্য প্রমাণ বিকৃত করা চলবে না। আদালতের এদিনের এই নির্দেশের ফলে এই চার নেতা-মন্ত্রীকে আপাতত গৃহবন্দি থাকতে হবে না।
এদিন শুনানির শুরুতেই হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল বলেন, অভিযুক্তদের শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেওয়া যায় কি না, আদালত সে বিষয়ে ভাবছে। কারণ এই মামলা অনেক দিন ধরে চলবে সেক্ষেত্রে এদের জামিন দেওয়া যেতে পারে। চূড়ান্ত নির্দেশের পর প্রয়োজনে জামিন খারিজ করা যেতে পারে।
এব্যাপারে সিবিআই’এর পক্ষে আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার অভিমত চায় আদারত। সেই সাথে আদালত আশ্বস্ত করে এও জানায় যে এই মামলা ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে না। আদালতের কাছে সতুষার মেহতাও দুইটি শর্ত রাখেন। তার একটি হল যাতে জামিন হলেও অভিযুক্তরা গণমাধ্যমের সামনে কোন সাক্ষাতকার দিতে না পারেন এবং পরবর্তীকালে জামিন খারিজ হয়ে গেলে ফের চারজনকে গ্রেফতার করা হতে পারে-এক্ষেত্রে দুইটি শর্তই মেনে নেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল