কলকাতা পৌরসভার মেয়র পদে বহাল থাকলেন ফিরহাদ হাকিম। সদ্য পৌরসভার ভোটে দলের জয়ী প্রার্থী/কাউন্সিলরদের নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতার মহারাষ্ট্র নিবাসে এক জরুরী বৈঠক করেন দলনেত্রী তথা রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি। ওই বৈঠক থেকেই নতুন মেয়রের নাম ঘোষণা করেন মমতা। সেক্ষেত্রে আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই পদে বহাল থাকবেন ফিরহাদ হাকিম। আগামী ২৮ ডিসেম্বর মেয়র পদে শপথ নেবেন রাজ্যের পরিবহন ও আবাসন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এদিনের বৈঠকের শুরুতেই তৃণমূলের টিকিটে জয়ী ১৩৪ জন প্রার্থীকে অভিনন্দন জানান দলনেত্রী। এরপর পৌরসভার চেয়ারপার্সন হিসাবে মালা রায়ের প্রস্তাব করেন দলের সিনিয়র নেতা ও দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। পরে পৌরসভার দলনেতা হিসাবে ফিরহাদ হাকিমের নামও প্রস্তাব করেন তিনি। তিনি জানতে চান যে এই প্রস্তাবে সকলের সমর্থন আছে কি না। মমতারও একই প্রশ্ন ছিল। এরপরই দুইটি প্রস্তাবেই সমর্থন জানান দলের বাকীরা, সকলেই জানিয়ে দেন এই প্রস্তাবনায় তাদের কোন আপত্তি নেই। এরপর মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাত জোড় করে কৃতজ্ঞতা জানান ফিরহাদ হাকিম। পরে ডেপুটি মেয়র হিসাবে অতীন ঘোষের নাম প্রস্তাব করেন মমতা। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরই মমতা ব্যনার্জিকে প্রণাম করেন ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীও তার মাথায় হাত রেখে দোয়া করেন তিনি যেন ভাল করে কাজ করেন।
এদিন পৌরসভার মেয়র পারিষদের (মেয়র-ইন-কাউন্সিল) ১৩ জন সদস্যের নামও ঘোষণা করেন দলনেত্রী। এরা হলেন অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার, তারক সিং, স্বপন সমাদ্দার, বাবু বক্সী, আমিরুদ্দিন ববি, মিতালী ব্যানার্জি, সন্দীপন সাহা, অভিজিৎ মুখার্জি, বৈশ্বানর চ্যাটার্জি, রাম পিয়ারী রাম ও জীবন সাহা। একইসাথে কলকাতা পৌরসভার ১৬ টি বরোর চেয়ারম্যানের নামও ঘোষনা করেন মমতা ব্যনার্জি।
এদিন মমতা বলেন ‘এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ভারতের কোথাও হয় নি। দলে অহঙ্কারের কোনও জায়গা নেই। মাটির দিকে তাকিয়ে মাটির কথা চিন্তা করতে হবে। যেদিন আমি তৃণমূল দলটা তৈরি করি, আমার একটাই উদ্দেশ্য ছিল মা-মাটি-মানুষ। অনেক কুৎসা, রটনার পরও মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন, তার দাম দিতেই হবে। আমাদের পরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে, কোন কাজ ফেলে রাখলে হবে না। ছয় মাস পর রিপোর্ট কার্ড নেওয়া হবে। কেউ কাজ করতে না পারলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দলের বেশি সময় লাগবে না, সরকারেরও বেশ সময় লাগবে না।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন