বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে ১১ দিনের জেল হেফাজত শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার ফের আদালতে তোলা হবে।
কাল বেলা ১১ টা নাগাদ কলকাতার নগদ দায়রা আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে তাদের।
সূত্রে খবর ইডির তরফে অভিযুক্তদের ফের জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হবে। প্রয়োজনে কারাগারের ভেতর গিয়ে জেরা করবেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। কারণ, বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা তাদের কাছে।
গত ১৪ মে অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পি কে হালদার, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর দুই দফায় মোট ১৩ দিন ইডি রিমান্ডের নির্দেশ দেন আদালত। তখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় ইডি।
১৩ দিনের ইডির রিমান্ড শেষে গত ২৭ মে আদালত তাদের ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই পর্বে কারাগার গিয়েও পি কে-কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের ওই বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে, যদিও তদন্তের স্বার্থে ইডি বা কারাগার কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে রাজি হয়নি। এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি কারাগারে অবস্থান করছেন পি কে হালদারসহ অভিযুক্ত পাঁচ পুরুষ আসামি, অন্যদিকে নারী অভিযুক্তকে রাখায় হয়েছে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নারী সেলে।
পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছেন যে, শুধু অশোকনগর বা পশ্চিমবঙ্গ নয়, পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা গোটা ভারতে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছেন। তাদের জেরা করে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিরও হদিস পাওয়া গেছে। অর্থ আত্মসাতের একটা বিশাল অংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে আবাসন খাতে। কলকাতা ও এর উপকণ্ঠে এমন একাধিক সংস্থার খোঁজ মিলেছে, যেগুলো পি কে হালদার বা তার সহযোগীদের হাতেই গড়ে উঠেছে। যদিও সেই আয়ের উৎস পি কে হালদার বা তার সহযোগীরা- কেউই দেখাতে পারেননি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ