দলীয় কোনো আন্দোলন-কর্মসূচি না থাকায় চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছেন। তিন মাস ধরে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কোনো আন্দোলন-কর্মসূচি ঘোষণা করেনি দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলেও মার্চে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে দলটির নেতা-কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করায় আন্দোলনের দিকে যায়নি। এতে বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও নগরকেন্দ্রিক রাজনীতি অনেকটাই গতিহীন হয়ে পড়েছে। তবে মহানগর ছাত্রদল নগরীর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করে দলীয় রাজনীতির চলমান বন্ধ্যত্দকে ঘোচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পূর্বাপর সময়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ নগর বিএনপির অন্তত ২০ শীর্ষ পর্যায়ের নেতার বিরুদ্ধে ঝুলছে পুলিশি মামলা। একই ধরনের মামলায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার দেড় মাস কারাভোগের পর এখন জামিনে মুক্ত। মূলত গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ১৮-দলীয় জোটের আন্দোলন চলাকালে গাড়ি ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগের ঘটনায় হওয়া মামলায় পুলিশ বিএনপির এই নেতা-কর্মীদের আসামি করে। এ রকম একাধিক মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখনো কারান্তরীণ রয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল নেতা টিংকু দাশ, এম জলিল, যুবদল নেতা হাসান, জসিমসহ অনেক মাঠ কঁাঁপানো নেতা। বাইরে যারা রয়েছেন তারাও কর্মসূচির অভাবে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। এ প্রসঙ্গে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শীঘ্রই কর্মসূচি আসবে। ইতোমধ্যে মহানগর ছাত্রদল নগরীর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে। এরপর যুবদলও একই কর্মসূচি শুরু করে মাঠপর্যায়ে নিজেদের সাংগঠনিক ভিতকে আরও শক্ত করবে। শেষে বিএনপির পক্ষ থেকেও সদস্য সংগ্রহ ও কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় গেলেও এখনো পর্যন্ত আমাদের কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। দলীয় নেতা-কর্মীদের কোনো ধরনের মিছিল-সমাবেশও করতে দিচ্ছে না পুলিশ। এটা যেন নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল। শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচি করতে না দিলে আমাদের হার্ডলাইনে যেতে হবে।