শিরোনাম
শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

আইনজীবী হত্যায় পাঁচজনের ফাঁসি

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে ভাষাশহীদ আবদুল জব্বারের নাতি ও শিক্ষানবিস আইনজীবী সোহেলকে হত্যার দায়ে এক নারী ও তার তিন ছেলেসহ পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার মধ্য মদনপুরা মীরাবাড়ী এলাকার আবদুর রউফের স্ত্রী মোসাম্মৎ আমেনা বেগম, তার তিন ছেলে মো. বাপ্পী, মো. তিথি ও মো. সজল এবং গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের কফিল উদ্দিন মাস্টারের ছেলে বাদল। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে তিথি ও বাদল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাজীপুর শহরের রথখোলা এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন গাজীপুর জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মচারী মো. সোহরাব উদ্দিন ভাণ্ডারী। তার বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার পাচুয়া গ্রামে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে ২০০৮ সালের ৯ মার্চ সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে ছায়াবীথি এলাকায় নিয়ে আসামিরা সোহরাব ভাণ্ডারীর ছেলে শিক্ষানবিশ আইনজীবী ফিরোজ্জামান সোহেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ঢাকার ইস্টার্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকালে সোহেল মারা যান। এ ঘটনায় সোহেলের বাবা বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। নিহত সোহেল ভাষাশহীদ আবদুল জব্বারের নাতি। তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ জুলাই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। প্রায় আট বছর ওই মামলায় শুনানি ও ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গতকাল গাজীপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন আদালত। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. মকবুল হোসেন কাজল। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন ও মোহাম্মদ আলী।

সর্বশেষ খবর