চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপকূলীয় খানখানাবাদ ইউনিয়নের প্রেমাসিয়া, কদমরসুল ও খানখানাবাদ গ্রামের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৪১ লাখ টাকায় রিং বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প। জোয়ার-ভাটার প্রবল স্রোত ঠেকাতে তৈরি করা হচ্ছে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের অস্থায়ী বেড়িবাঁধ। তবে এটি লোহা-সিমেন্ট-কংক্রিটের নয়, তৈরি হচ্ছে বাঁশ দিয়ে। ইতিমধ্যে খানখানাবাদ ও কদমরসুল গ্রামে বাঁশ ও গাছের খুঁটি দিয়ে (স্থানীয় ভাষায় বল্লি) বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিন কিলোমিটারের বাঁধটির জন্য সরকার ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এ টাকা দিয়ে আধুনিক মানের বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে না। বাঁশ ও খুঁটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করলে জোয়ার-ভাটার প্রবল স্রোতে তা অল্পদিনের মধ্যেই ফের পানিতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রেমাসিয়া গ্রামের বাসিন্দা রুস্তম আলী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বলছে, দরপত্রের শিডিউলে বাঁশ দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা কাউকে দেখাতে পারেনি, দেখাচ্ছেও না। তাই অনেক অনিয়মের আশঙ্কা রয়েছে এখানে। তাছাড়া এখানে পানি বেশি ঢুকে প্রেমাসিয়া গ্রাম দিয়ে। কিন্তু বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে অপর দুই গ্রাম দিয়ে। ফলে কাজ চলাকালীন প্রেমাসিয়া দিয়ে জোয়ার-ভাটার পানি ঢোকে নির্মাণাধীন বাঁধ নষ্ট হচ্ছে। খানখানাবাদের ইউপির চেয়ারম্যান আবু ছিদ্দিক আবু বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের কপালে লিখন। তাই সরকার টাকা বরাদ্দ দিলেও আমরা প্রয়োজনীয় উন্নয়ন পাই না। কিছু মানুষের পকেটের উন্নয়ন হয়। কারণ আমার ইউপিতে বেড়িবাঁধ হচ্ছে, অথচ আমি জানি না। সরকারি বরাদ্দে বাঁধ হচ্ছে, তবে তা বাঁশ গাছের। যা প্রবল জোয়ারের পানিতে সহজেই ভেসে যেতে পারে। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের টাকা পানিতেই যাবে।’ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খ.ম জুলফিকার তারেক বলেন, ‘বাঁধটির নকশা করেছে আমাদের ডিজাইন বিভাগ। সেখানে বিশেষজ্ঞরাই এ বাঁধটির নকশা করেছেন। ফলে কি দিয়ে কীভাবে এটি করলে টেকসই হবে তা তারাই ভালো বুঝবেন। তবে আমি মনে করি এটি টেকসই হবে। তাছাড়া আগামী ডিসেম্বরে এখানে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে।’ প্রসঙ্গত, গত ২২ মে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুতে উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে সাতজন নিহতসহ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১ হাজার ৩০৫ একর। ৪০ হাজার হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু মারা যায় ৬০টি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৩টি মসজিদ। ৭ কিলোমিটার সড়ক সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ কিলোমিটার সড়ক। সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫২ হাজার পরিবার। গত ২৩ মে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শনে গেলে ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
শিরোনাম
- টানা বর্ষণে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা, ৪১ জনের প্রাণহানি
- ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
- ১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
- ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
- লঙ্কানদের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল জিম্বাবুয়ে
- আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
- বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর
- ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন
- জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান
- জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন্যুতে ভয়াবহ আগুন
- দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
- তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
- রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
- নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
- ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
- সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
- তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
- গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
- ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান
এবার বাঁশ দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়