স্বাদের মাছ মহাশোল, আবার মিলবে। এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ময়মনসিংহ মত্স্য ও গবেষণা ইনস্টিটিউট। তারা হ্যাচারি তৈরি করে এ মাছের রেণু থেকে কয়েক হাজার মহাশোলের পোনা উৎপাদন করেছে। এভাবে উৎপাদিত পোনা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভাটি বাংলার কংস ও সোমেশ্বরী নদীর মিঠাপানির মাছ এই মহাশোল। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ ঝেরার টাঙ্গুগুয়ার হাওর এবং চট্টগ্রামের সাঙ্গু নদীতেও মহাশোল পাওয়া যেত। সুস্বাদু মাছটি এখন আর আগের মতো ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ে না। মত্স্য অধিদফতর সূত্র জানায়, পাহাড়ি স্বচ্ছ পানির নদীতে এ মাছের আবাস। নদীর পাথর-নুড়ির ফাঁকে ফাঁকে পেরিফাইটন নামের এক রকমের শ্যাওলা জন্মে। এগুলোই মহাশোলের প্রধান খাবার। এ মাছ সর্বোচ্চ ১৫ মিটার গভীর পানিতে চলাচল করতে পারে। পানির উষ্ণতা ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত এদের জীবন ধারণের পক্ষে সহায়ক। এ মাছ দেখতে অনেকটা মৃগেল মাছের মতো। এই মহাশোলের বংশ রক্ষার জন্য ময়মনসিংহে মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি কেন্দ্র কাজ করছে। সেখানে এরই মধ্যে সফলভাবে এর পোনা উৎপাদন করা হয়েছে। মজুদও যথেষ্ট রয়েছে। উপমহাদেশের স্পোর্ট ফিশ হিসেবে সমাদৃত মহাশোল মাছ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে এর অত্যন্ত কম ডিম ধারণ ক্ষমতাকে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন, মহাশোলের বিলুপ্তির কারণে আশির দশকে নেপাল থেকে এ মাছের পোনা আমদানি করা হয়। পরে পুকুরে পোনা ছেড়ে প্রজনন কৌশল ও জিন পুল সংরক্ষণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে মাছ চাষের কৌশলও আয়ত্ত করে বিএফআরআই। ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত মহাশোলের পোনা এরই মধ্যে রাঙামাটি কাপ্তাই লেক, সোমেশ্বরী এবং কংস নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোলা, ফেনী এবং সিলেট অঞ্চলে এ মাছের চাষ করা হচ্ছে। ফলে মহাশোলের প্রাপ্যতা দিন দিন বাড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আধুনিক মত্স্য চাষে রুই জাতীয় মাছের সঙ্গে সফলভাবে মহাশোল মাছের মিশ্র চাষ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে পুকুরের পানির উৎপাদনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যাচ্ছে। মাছটি ওজনে সাধারণত ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়। এ মাছের আঁশগুলো বড়। পরিণত মাছের আঁশ শক্ত, উজ্জ্বল সোনালি রঙের ও দীপ্তিমান হয়। পাখনা ও লেজ রক্তিম বর্ণের। এ ছাড়া নাকের সামনে ছোট দুটি গোঁফের মতো রয়েছে। সব মিলিয়ে দেখতে খুব সুন্দর। মত্স্য গবেষণা কেন্দ্রের উপ-প্রধান মত্স্য কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার পাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ ব্যাপারে বলেন, মিঠা পানির মাছের মধ্যে মহাশোল স্বাদেও সেরা। মহাশোলের দুটি প্রজাতি রয়েছে। বাংলাদেশে দুই প্রজাতির মহাশোলই একসময় পাওয়া যেত। তবে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্রার কংস নদ ও দুর্গাপুরে পাহাড়ি সোমেশ্বরী নদীর মহাশোলের মূল আবাস ছিল। বর্তমানে এই নদীর উৎসমুখ প্রায় বন্ধ। শুকনো মৌসুমে নদী দুটি প্রায় শুকিয়ে যায়। বসবাস ও বংশ বৃদ্ধির জায়গা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এ মাছের প্রজনন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। একপর্যায়ে এসব এলাকায় প্রায় বিলুপ্ত হয়ে পড়ে প্রজাতিটি। মত্স্য বিভাগ জানায়, মহাশোল মাছ অনেক বড় হয়। নেত্রকোনা জেলার বারহাট্রা, কলমাকান্দা, মধ্যনগর, মোহনগঞ্জ, ধর্মপাশা ও নেত্রকোনার মেছুয়া বাজারে মাঝে মধ্যে এ মাছ পাওয়া যায়।
শিরোনাম
- সরকারের সমালোচনা: ভেনেজুয়েলায় নারী চিকিৎসকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড
- রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে হতাহত ১৮
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
- শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
- গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা