মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

নারী উদ্যোক্তাদের বাজার জিনজিরা

মাহবুব মমতাজী

নারী উদ্যোক্তাদের বাজার জিনজিরা

রাজধানী ঢাকা মহানগরী থেকে বুড়িগঙ্গা নদীর দ্বিতীয় সেতু পার হলেই ডানপাশে জিনজিরা। সেখানকার বাজারটির নাম স্থানীয়রা বলেন ‘নারী বাজার’। কেন নারী বাজার? কারণ এ বাজারে পণ্যের ক্রেতা-বিক্রেতার অধিকাংশই নারী। কেউ কেউ বলেন, ‘বউ বাজার’। এ বাজারের পাঁচ শতাধিক দোকানের মধ্যে অধিকাংশ দোকানি নারী। তাদের স্বামী ও সন্তানরা পুরান ঢাকার শ্যামবাজার থেকে কাঁচা তরকারি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল আনা-নেওয়া করেন। আর নারীরা শুধু দোকানে বসে বিক্রির কাজটি সারেন। জানতে চাইলে বিক্রির সঙ্গে জড়িত নারীরা জানান, এখানকার যত ক্রেতা তারা নারী, দোকানদারও নারী। জানা গেছে, ১৯৮৮ সালের দিকে এ বাজারের যাত্রা হয় কেরানীগঞ্জ আগানগরের ইমামবাড়িতে। ২০০১ সালে সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলে তার পাশে সরকারি অধিগ্রহণকৃত খোলা মাঠে বাজারটি বসানো হয়। তখনই মুন্সীগঞ্জের নদীভাঙুলি পরিবারের নারীরা এখানে বিভিন্ন তরিতরকারির দোকানদারি শুরু করেন। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার ক্রেতার সমাগম ঘটে এ বাজারে। জুলেখা নামের এক দোকানি বলেন, সকালের দিকে এত পরিমাণ ভিড় হয় যে, পা ফেলার মতো জায়গা থাকে না। যারা আসেন সবাই মহিলা। কেরানীগঞ্জ ও জিনজিরার অন্যান্য বাজারের তুলনায় এ বাজারে জিনিসপত্র ১০-১৫ টাকা কমে পাওয়া যায়। এ সম্পর্কে হাজেরা নামের এক ক্রেতা বলেন, অন্য জায়গার তুলনায় দাম অনেক কম থাকে বলে সবাই এখানে আসেন। এখানে দাম কম, বিক্রিও বেশি। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এখানে টমেটো প্রতি কেজি ২০ টাকা, যা অন্যখানে ৪০ টাকা। আলু ১০ টাকা, অন্যখানে ১৬ টাকা। পিয়াজ ১৮ টাকা, অন্যখানে ২৫-৩০ টাকা। বেগুন ২০ টাকা, অন্যখানে ৩০ টাকা। অন্যান্য পণ্যের চেয়ে পিয়াজের বিক্রি তুলনামূলক বেশি। বাজারটির দোকান ভাড়া সম্পর্কে জানতে চাইলে মুসলিমা বেগম নামের এক বিক্রেতা জানান, ৩-৪ বর্গফুটের দোকানের ভাড়া দিনপ্রতি ২০০ টাকা। এর মধ্যে যিনি পজিশনের মালিক তিনি পান ১০০ টাকা। বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খরচ বাবদ নেওয়া হয় ১০০ টাকা।

 

সর্বশেষ খবর