সুনামগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তারা হলেন দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাঙাপাড়া গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার জীবনপুর গ্রামের কানুরার ছেলে আসকর আলী (২৪)। এনিয়ে পতাকা বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।
বিজিবি জানায়, শনিবার মধ্যরাতে দোয়ারাবাজার সীমান্তের ভাঙাপাড়া এলাকা দিয়ে ১০ থেকে ১২ জন বাংলাদেশি চোরাকারবারি গরু চোরাচালানের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। তারা গরু নিয়ে ফিরে আসার সময় বিএসএফের একটি টহল দল তাদের বাধা দেয়। এ সময় চোরাকারবারিরা বিএসএফ টহল দলের ওপর ইট-পাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিএসএফ চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে ৩-৪ রাউন্ড গুলি ছুড়লে বাংলাদেশি শফিকুল ইসলাম (৪৫) গুলিবিদ্ধ হন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির জানান, এ ব্যাপারে বিএসএফকে পতাকা বেঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিএসএফকে প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হবে। সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারিসহ টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে, শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আসকর আলী (২৪) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। মিনাপুর সীমান্তের ৩৫৩ নম্বর প্রধান পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আসকর আলী হরিপুর উপজেলার জীবনপুর গ্রামের কানুরার ছেলে। আসকর আলীসহ কয়েকজন মিনাপুর সীমান্তের ৩৫৩ নম্বর প্রধান পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে যান। এ সময় ভারতের কিষাণগঞ্জ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
এতে আসকর আলী ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তার লাশ ভারতের প্রায় ২০০ গজ অভ্যন্তরে পড়ে আছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর সেক্টরের ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মঈন হাসান। তিনি বলেন, নিহতের লাশ ফেরত আনার জন্য বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।