সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

স্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ না পাওয়ায় করা রিটের নিষ্পত্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই বছর অতিরিক্ত বিচারপতির দায়িত্ব পালনের পরও হাই কোর্টে স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ না পাওয়া মো. ফরিদ আহমদ শিবলীর পক্ষে যে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছিল, শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তি করে দিয়েছে আদালত। গতকাল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি  জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালত বলেছে, অনুরূপ বিষয়ে এর আগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে বাদ পড়া এ বি এম আলতাফ হোসেনের আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন। তাই ফরিদ আহমদ শিবলীর আবেদনে হাই কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আদেশের পর মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, কিছু পর্যবেক্ষণসহ আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করেছে। পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এর আগে অতিরিক্ত ১০ বিচারকের বিষয়ে আপিল বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, বিচারক নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির সুপারিশ প্রাধান্য পাবে। আর যদি নিয়োগ পাওয়ার অযোগ্য হন,  সেক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পাবে। এক্ষেত্রে অযোগ্যতার বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। মনজিল মোরসেদ বলেন, অনুরূপ ঘটনায় করা একটি আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন। তাই হাই কোর্ট বলেছে, ফরিদ আহমদ শিবলীর বিষয়টির নিষ্পত্তিও আপিল বিভাগে হওয়া প্রয়োজন। এর আগে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রিটে মো. ফরিদ আহমদ শিবলীকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে কেন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে না তা জানাতে রুল চাওয়া হয়। রিটে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিবাদী করা হয়। ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জন হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর দায়িত্ব পালনের পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি তাদের মধ্য থেকে আটজনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। রিট দায়েরের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। প্রধান বিচারপতির সুপারিশ থাকার পরও ফরিদ আহমদ শিবলীকে বাদ দিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।

সর্বশেষ খবর