রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

অনশনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনশনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা

বেতন স্কেল নির্ধারণের দাবিতে গতকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রধান শিক্ষকদের পরের স্কেলেই বেতন নির্ধারণের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন সারা দেশ থেকে আসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল সকাল ১০টা থেকে অনশন করছেন তারা। বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের ডাকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গত সন্ধ্যায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনশনরত শিক্ষকদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

তাদের চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলে শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন। সারা দেশ থেকে আসা প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা গতকাল সকাল ৮টা থেকেই জড় হতে থাকেন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। ১০টার মধ্যে লোকারণ্য হয় শহীদ মিনার এলাকা। শিক্ষকদের এক দফা দাবি বেতন বৈষম্য নিরসন করতে হবে। এ দাবিতে থেমে থেমেই চলছিল স্লোগান। শিক্ষকরা বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের বেতন গ্রেডে এক ধাপ পার্থক্য ছিল। পরে ২০০৬ সালে এসে দুই ধাপ পার্থক্য সৃষ্টি হয়। ২০১৪ সালে তিন ধাপ পার্থক্য সৃষ্টি হয়। প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে উন্নীত হলেও সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডেই রয়ে গেছেন। এ বৈষম্য অবিলম্বে দূর করার দাবি শিক্ষকদের। মাদারীপুরের কালকিনি থেকে আসা আন্দোলনরত শিক্ষকনেতা মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কেবল নিচের গ্রেডেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করতে হবে। অথচ আমাদের বেতন গ্রেডে তিনটি ব্যবধান। সরকারকে বিব্রত করতে আমাদের আন্দোলন নয়। এ আন্দোলন দাবি আদায়ের।’

বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি তপন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন চলবে।’ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অনশনে অংশ নেওয়া তিন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। এরা হলেন যশোরের অভয়নগরের আজিজুর রহমান, গাইবান্ধার লুত্ফর রহমান, সিলেট সদরের নুরুল ইসলাম। তাদের চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা পূরণ করা হয়নি। বেতন বৈষম্য নিরসন না করলে আমরা শহীদ মিনার ছেড়ে পাঠ্যবই উত্সবেও অংশ নেব না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর