সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রকল্পের বহর বাড়ানো প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে

—অধ্যাপক নজরুল ইসলাম

প্রকল্পের বহর বাড়ানো প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে

নগরবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এখন প্রকল্প নিলেই নাম দেওয়া হয় মেগা প্রকল্প, সুপার মেগা প্রকল্প। আমরা এখন বড় বড় চিন্তা করা শুরু করেছি। কিন্তু এটা করতে গিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে কাজ শুরুর পর বহর বাড়তে থাকে প্রকল্পের আর খরচের। সঙ্গে বেড়ে যায় মানুষের দুর্ভোগ।’ সোমবার কুড়িল-পূর্বাচল ১০০ ফুট খাল প্রকল্পের নকশায় নতুন সংযোজন বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইদানীং প্রকল্পগুলোর প্রবণতা হয়েছে, এক অঙ্কে শুরু হয়ে খরচ বেড়ে দ্বিগুণ-তিনগুণে দাঁড়ায়। এই প্রকল্পে যাদের জমি নেওয়া হচ্ছে তাদের যেন পরিকল্পিত পুনর্বাসন হয়। সাধারণ মানুষ যেন সামাজিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটি মাথায় রাখতে হবে। নতুন পরিকল্পনার বিষয়ে এই নগরবিদ বলেন, সব মানুষ ঢাকায় আসবে এটা ঠিক না। পূর্বাচলের মানুষ পূর্বাচলেই তাদের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করবে। শহরতলির মতো হলে চলবে না। এই পরিকল্পনা দেখে মনে হয় পূর্বাচলে বসবাসকারী সবাইকে ঢাকায় আনার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওখানে বাইপাস রোড না করে এয়ারপোর্ট রোডে সবকিছু নিয়ে আসা হয়েছে। পূর্বাচলের বিশাল জনগোষ্ঠীকে মেট্রো, এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ সব যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে ঘোরানো হচ্ছে। রাস্তায় হাঁটার ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে দুই কিলোমিটার দূরে যার বাড়ি তাকে আট কিলোমিটার না ঘুরতে হয়। এ জন্য তিনি স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (এসটিপি) বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন। নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই রাস্তায় গণপরিবহনের ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ আমরা এসটিপির বৈঠকে একাধিকবার বলেছি। সড়কের পাশে সার্ভিস রোড এবং উত্তর-দক্ষিণ পারাপারে সেতু বা ইউলুপ থাকতে হবে। শুধু প্রাইভেট গাড়ির চিন্তা না করে গণপরিবহনের ব্যবস্থাকে সহজ করার চিন্তা থাকতে হবে। এ ছাড়া এর বিশাল খরচ ব্যর্থ হয়ে যাবে।’

সর্বশেষ খবর