সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ফেসবুকে পরিচয়-বিয়ে

ভারতে পাচার কিশোরী আলপনা ফিরতে চায়

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

ফেসবুকে পরিচিত হয়ে সুনামগঞ্জের কিশোরী পরশমনি আক্তার আলপনার (১৫) সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দিনাজপুরের দেলোয়ার হোসেনের। আসলে এভাবেই কিশোরীকে পাচার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এ অবস্থায় ভারতীয় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আলপনা এখন তাদের চাইল্ড লাইন নামের একটি সংস্থার হেফাজতে রয়েছে। সে এখন দেশে ফেরার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের চাইল্ড লাইনের হেফাজতে থাকা কিশোরী আলপনা জানিয়েছে, তাকে পাচার করে ভারতের মুম্বাই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গত শুক্রবার বিকালে সে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানায়, ফেসবুকে পরিচয় হওয়ার পর দিনাজপুর জেলার চন্দাগড় এলাকার সাদিকুলের পুত্র দেলোয়ার হোসেন তাকে বিয়ে করে। এরপর তারা দুদিন দিনাজপুরে থাকে। পরে স্বামী এমন আশ্বাস দেয়- দুজনেই মুম্বাইয়ে গিয়ে চাকরি করবে। সেমতে আলপনাকে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার লালপুরে ধরণি দাস ওরফে ধরোর বাড়িতে নিয়ে যায় স্বামী দেলোয়ার। সেখানে ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে তাকে রেখে খাবার আনতে যাবার কথা বলে দেলোয়ার বেরিয়ে যায়। এরপর আর তার হদিস মেলেনি। এদিকে স্বামীর চিন্তায় আলপনা কান্নাকাটি শুরু করে। এরই মধ্যে তার কাছ থেকে একটি দামি মোবাইল এবং ৩০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় ভারতীয় দালাল ধরো। বিষয়টি প্রতিবেশিরা জানতে পেরে ভারতের হিলি থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আলপনা অপ্রাপ্ত বয়সের হওয়ায় পুলিশ চাইল্ড লাইন নামের সংস্থার হেফাজতে দেয়। পুলিশ ভারতের ওই দালাল ধারোকে এরই মধ্যে গ্রেফতার এবং ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। কিন্তু কথিত স্বামীর কোনো খোঁজ  মেলেনি।

চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর সুরজ দাস জানান, এই মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধরের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মেয়েটি তার বাড়ির ঠিকানা সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানার পাইকরহাট ইউনিয়নের রায়পুর গ্রাম বলে জানিয়েছে। তার বাবার নাম আবদুল হান্নান মিয়া এবং মায়ের নাম আলেয়া খাতুন। আর কথিত স্বামী দেলোয়ার  হোসেনের বাড়ি দিনাজপুরের চন্দাগরে এবং মেয়েটির শ্বশুরের নাম সাদিকুল এবং শাশুড়ি আনোয়ারা। মেয়েটির পরিবার যোগাযোগ করলে সব নিয়ম মেনে তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

সর্বশেষ খবর