শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

বাংলাদেশে নতুন সবজি ব্রাসেলস স্প্রাউট

ওলী আহম্মেদ, শেকৃবি

বাংলাদেশে নতুন সবজি ব্রাসেলস স্প্রাউট

উন্নত বিশ্বে ব্রাসেলস স্প্রাউট একটি জনপ্রিয় সবজি। সবজি জাতীয় এ উদ্ভিদটির প্রত্যেক পাতার গোড়ায় কিছুটা বাঁধাকপির ন্যায় একটি করে ছোট কুঁড়ি হয়। এ কুঁড়িটিই ব্রাসেলস স্প্রাউট, যা খাওয়া হয়।  বৈজ্ঞানিক নাম Brassica oleracea। মূলত শীতপ্রধান  দেশের সবজি হলেও সম্প্রতি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) গবেষণায় বাংলাদেশে এই প্রথম উৎপাদন হলো ব্রাসেলস স্প্রাউট। শেকৃবির এমএস ফেলো কাজী নওরিন তার গবেষণার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব খামারে ব্রাসেলস স্প্রাউট নিয়ে কাজ করছেন। এ গবেষণার সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন শেকৃবি উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মো. সোলায়মান। ড. সোলায়মান বলেন, ‘গত বছর গবেষণার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ বোটানি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিনের সহায়তায় ইংল্যান্ড থেকে এর বীজ আনা হয়েছিল। ভয় ছিল বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়ায় এটি উৎপাদন উপযোগী কিনা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ব্রাসেলস ¯প্রাউট বেশ সফলভাবেই উৎপাদন হয়েছে।’ গবেষক কাজী নওরিন জানান, ‘অন্য সব কপি জাতীয় সবজিগুলোর চেয়ে ব্রাসেলস ¯প্রাউটে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান গ্লুকোসিনোলেটসের পরিমাণ অনেক বেশি। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, এ এবং কে এর পরিমাণও এতে অন্যান্য সবজি থেকে ঈর্ষণীয় মাত্রায় উপস্থিত। সবজিটির উৎপাদন পরবর্তী সঠিক ও যথার্থ গবেষণা যেমন এর সার্বিক মানোন্নয়ন করবে অন্যদিকে পুষ্টিগুণ ও স্বাদ বিবেচনায় সবজিটি উন্নত বিশ্বের মতো এ দেশেও সমাদৃত হবে।’ ড. সোলায়মান জানান, ‘শীতপ্রধান সবজি হওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলে এটির ফলন বেশ ভালো হবে। শীতকাল যত দীর্ঘ হবে এর ফলন তত বাড়বে। এর চাষাবাদ পদ্ধতি পুরোপুরি বাঁধাকপির মতো। সর্বোচ্চ ৫ ফুট উচ্চতার একেকটি গাছে ৪০-৬০টি স্প্রাউট হয়। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে গাছের মাথা ভেঙে দিলে (টপিং) স্প্রাউটের আকার তুলনামূলক বড় হয়।’ বাণিজ্যিকভাবে এর উৎপাদন সম্বন্ধে তিনি বলেন, ‘সার প্রয়োগের সঠিক মাত্রা, তাপ সহনশীল জাত, কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই দমনের মতো উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে খুব শিগগিরই এটি মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর