আসামি জনির পরিবর্তে আটক সবুজ এখন কারাগারে। তাদের দুজনের বাবার নাম একই রকম। ঠিকানাও একই। আর সে কারণেই বিভ্রান্তি। বিভ্রান্তি যে হয়েছে, তা বুঝতে পেরেছে পুলিশও। আর সে কারণে আদালতের কাছে ভুলের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। শিগগিরই সবুজ জামিনে মুক্তি পেয়ে যাবেন বলে আশা করছেন আইনজীবীরা। ২০০৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট বাজার থেকে মিঠু শেখ নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন আরিচপুর বিলে পাওয়া যায় তার মরদেহ। নিহত মিঠু শেখের বাড়ি সদর উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামে। তার ভাই ইসমাইল শেখ বাদী হয়ে এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। পরে আদালতে জমা দেওয়া মামলার চার্জশিটে আসামির সংখ্যা একজন কমে আটে দাঁড়ায়। এই তালিকায় ৫ নম্বরে থাকা আসামি হলেন সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা কদমতলা এলাকার খাইরুলের ছেলে জনি। জনি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে যশোর কোতোয়ালি থানার এএসআই সোহেল রানা ওই মামলার ৫ নম্বর আসামি জনিকে গ্রেফতার করে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে সোপর্দ করেন। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে সবুজের পিতা খাইরুল দাবি করেন, পুলিশ জনিকে আটক করতে গিয়ে ভুল করে তার ছেলে সবুজকে আটক করে নিয়ে গেছে। গত দুই মাস ধরে সবুজ কারাগারে। এখন পুলিশ বলছে, দুজনের পিতার নাম ও ঠিকানা একই হওয়ায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই বিষয়টির সুরাহা হয়ে যাবে বলে তারা আশা করছেন। সবুজের আইনজীবী মোস্তফা হুমায়ুন কবীর জানান, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আদালতে পুলিশের প্রতিবেদন পৌঁছেনি।
এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারিত রয়েছে ২২ মে। এদিন মামলার বাদী, তদন্ত কর্মকর্তা ও সবুজকে আটক করা এএসআই সোহেল রানাকে আদালত হাজির থাকতে বলেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে যদি বিভ্রান্তির কথা স্বীকার করা হয় তাহলে সবুজের মুক্তি পাওয়াটা সহজ হয়ে যাবে। পুলিশের এ প্রতিবেদন লিখিত আকারে ২২ মের আগেও যদি পাওয়া যায়, তাহলে নির্ধারিত তারিখের আগেও জামিন শুনানি করা সম্ভব। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত আদালতে পুলিশের ওই রিপোর্ট আমরা পাইনি।