পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৯তম সভার সিদ্ধান্ত ছিল, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনায় থাকা গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ নিজ নিজ সংস্থা কর্তৃক বিচ্ছিন্ন, ১৫ মের মধ্যে সব ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদ এবং দুর্যোগের সময় কোনো প্রাণহানি ঘটলে জেলা প্রশাসক নিজেই বাদী হয়ে সংস্থার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করার। ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু কথা রাখেনি সরকারি চার সংস্থা কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, চট্টগ্রাম ওয়াসা, পরিবেশ অধিদফতর ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল। ১৫ মে নির্দিষ্ট সময় পার হলেও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন দৃশ্যমান নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৫ মে আলটিমেটাম শেষ হলেও পাহাড়ে এখনো অবৈধ স্থাপনা আছে। কিন্তু সংস্থাগুলো বলছে, তারা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করছে। পক্ষান্তরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পিডিবি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গেলে বাধার মুখে পড়ে। এ ছাড়া উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ, মামলা ও মিছিলও হয়। তদুপরি ঝুঁকিপূর্ণ মতিঝরনা পাহাড়ে উচ্ছেদে গেলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা মিলে বাধা দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। জানা যায়, পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার সিদ্ধান্তমতে জেলা প্রশাসনের ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কিন্তু এর বিপরীতে সংস্থাগুলোর কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। পিডিবি ও পরিবেশ অধিদফতর কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করলেও অন্যদের ভূমিকা দৃশ্যমান নয় বলে অভিযোগ আছে। পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘সংস্থাগুলোর নিজ নিজ উদ্যোগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়। এখন তারাই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে। তবে দুর্যোগের সময়কার সব দায়ভার ওই সংস্থাগুলোর, তা মিটিংয়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে।’ পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম নগরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক বলেন, ‘আমরা কয়েকটি পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি। বাকিটা রমজানের পর পরিচালনা করা হবে।’ পিডিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন বলেন, ‘আকবর শাহ্, মতিঝরনাসহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বেশ কিছু বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এটি চলমান আছে।’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে পাহাড়ধসে চট্টগ্রামের সাতটি স্থানে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০০৮ সালে মতিঝরনা এলাকায় পাহাড়ধসে চার পরিবারের ১২ জন, ২০১১ সালের ১ জুলাই টাইগার পাস বাটালি হিলে পাহাড়ের দেয়াল ধসে ১৭ জন, ২০১৭ সালের ১১ জুন রাতে টানা বর্ষণে ১২ জন এবং ২০১৮ সালে চারজনের মৃত্যু হয়।
শিরোনাম
- বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
- ইমাম প্রশিক্ষণে সৌদি সরকারের সহায়তার আশ্বাস
- শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনে তালা
- নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল আরও ৭ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার
- প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে বিপদ আরও বাড়বে : গয়েশ্বর
- নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
- চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
- আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
- ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন চমক স্পর্শিয়া
- শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
- সাজা শেষে ৭২ প্রবাসীকে দেশে পাঠাল মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন
- উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন
- আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
- সাঈদ খোকন ও তার বোনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অনুমোদন
- ‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’
- ২৩ নভেম্বর বিপিএলের নিলাম
- মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ডিকেবিএ’র ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
- ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী
- ২০২৪ সালে যক্ষ্মায় মারা গেছে ১২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের