রবিবার, ৯ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি

দিনাজপুরে ‘সুন্দরী’ ধানের ব্যাপক ফলন

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

দিনাজপুরে ‘সুন্দরী’ ধানের ব্যাপক ফলন

বেগুনি রঙের নতুন জাতের ‘সুন্দরী’ ধানের পরীক্ষামূলকভাবে আবাদ করে ব্যাপক ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় ২৬ মণ ধান পেয়েছেন কৃষক আবদুল হাকিম। তার সাফল্যে এই ধান চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অনেক কৃষক। আশপাশের এলাকা ছাড়াও অন্যত্র এই সুন্দরী ধানের আবাদ হবে বলে এলাকার অনেকে আশা প্রকাশ করেন।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষক আবদুল হাকিম তার জমিতে ‘সুন্দরী’ ধানের চারা রোপণ  করেন। ফসলের মাঠের চারদিকে রোপণ করা হয় সবুজ রঙের ইরি-বোরো ধানের চারা। অন্যান্য জমির ধানের চারার রং সবুজ হলেও হাকিমের জমির ধানের চারার রং বেগুনি। সড়কের ধারে ধান খেতটি হওয়ায় এবং রং বেগুনি দেখে ওই পথে যাতায়াতকারীদের খেতটি নজর কাড়ে। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের দক্ষিণ জয়দেবপুর গ্রামের কৃষক আবদুল হাকিম এক বিঘা জমিতে নতুন ধান ‘সুন্দরী’ চাষ করছেন। পুটিমারা ইউনিয়নের চড়ারহাটের পশ্চিম পাশে বিরামপুর-ঘোড়াঘাট পাকা সড়কের উত্তরে নজর কাড়া ধান কাটা হয়েছে। ওই ধানের ফলন হয়েছে ১ বিঘায় প্রায় ২৬ মণ। কৃষক আবদুল হাকিম জানান, গত মৌসুমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুলালী বেগম এই সুন্দরী জাতের ধান চাষ করেন। অন্যান্য ধানের চারা দেখতে সবুজ হলেও সুন্দরী ধানের চারা বেগুনি রঙের হয়। তিনি চলতি বছর দুলালী বেগমের কাছ থেকে এক কেজি ধানের বীজ দেড় হাজার টাকা দিয়ে কিনে এনে নিজ জমিতে বীজতলা করেন। খেতটির গোছাগুলো উফশী জাতের ধানের মতো। গোছার রং বেগুনি। ধান গাছের গোছাগুলো উফশী জাতের মতো এবং গোছার রং বেগুনি হলেও ধানের রং হয়েছে উফশীর মতো এবং ধানের গায়ে ফোঁটা ফোঁটা দাগ রয়েছে। চাল সুগন্ধিযুক্ত সাদা রঙের। কৃষক আবদুল হাকিম জানান, তিনি ওই ধানটি পুনরায় চাষ করবেন এবং ধানটির বিস্তার ঘটানোর জন্য তার ধান শুধু বীজ হিসেবেই বিক্রি করবেন। উপজেলা কৃষি অফিসার আবু রেজা মো. আসাদুজ্জামান ও বেগুনি ধান চাষ করা কৃষক আবদুল হাকিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ধানটি বাজারে নেওয়ার পর এর মূল্য এবং চাহিদা কেমন হবে তা জানা যাবে। অন্য এলাকাতেও এ ধানের পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করা হবে। যাতে করে এই সুন্দরী ধানের আবাদ জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর