বুধবার, ১২ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

খালেদার রিটের শুনানি নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর সুপারিশ

কুমিল্লার মামলায় পলাতকদের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচারের জন্য কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থানান্তরের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে করা রিট হাই কোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। অবকাশকালীন ছুটির পর আগামী ১৬ জুন থেকে হাই কোর্টের নিয়মিত বেঞ্চ বসবে। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। আদেশের পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি দরকার। এ বেঞ্চের সে সময় নেই। অবকাশে আজই (গতকাল) শেষ দিন ছিল এই বেঞ্চের। তাই এটি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে। আমরা অবকাশ শেষে নিয়মিত বেঞ্চে দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেব।’ এর আগে গত ২৮ মে এ রিটের আংশিক শুনানি হয়। সে সময় আদালত বলেন, মামলার চার্জশিট দেওয়া উচিত ছিল, তা হলে আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে। এ ছাড়া ওই আদালতের বিচারকের অধিক্ষেত্রের গেজেট জমা দিতে বলা হয়। মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমরা এই গেজেট পাইনি। এ কারণে জমাও দিতে পারিনি।’ পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারের একটি কক্ষকে আদালত ঘোষণা করে নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচার চলছিল। গত ১২ মে সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এ মামলার বিচারের আদালত পুরনো কারাগার থেকে স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নতুন কারাগারের পাশে স্থাপিত ভবনে স্থানান্তরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৬ মে রিট আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার রিটে দাবি করা হয়েছে, সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ বহির্ভূত। একই সঙ্গে প্রজ্ঞাপনে প্রচলিত ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা ৯ এর (১) ও (২) উপধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে।

বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো মামলা, পলাতকদের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানোর বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় পলাতক আসামিদের মালামাল ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সময় আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী তারিখ আগামী ৩১ জুলাই ধার্য করেছে। কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ মো. আলী আকবর গতকাল দুপুরে এ আদেশ দেন। এ মামলার অন্যতম আসামি বেগম খালেদা জিয়া অন্য মামলায় জেলে থাকায় তার পক্ষের আইনজীবীরা সময় চান। আদালত বেগম খালেদা জিয়াসহ সব সময় আবেদনকারীদের আবেদন মঞ্জুর করেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকুসহ কয়েকজন আইনজীবী। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে বাসে পেট্রল বোমা ছুড়ে আগুন লাগিয়ে ৮ যাত্রী হত্যার অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই ইব্রাহীম বিশেষ ক্ষমতা আইনে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির ঊর্ধ্বতন কয়েক নেতাসহ ৫৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। একই তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ৭৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেন। পরে একই থানার এসআই ফিরোজ মামলার অন্যতম আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এম কে আনোয়ারের মৃত্যু হলে তাকে বাদ দিয়ে ৭৭ জনের নামে অভিযোগপত্র দেয়।

সর্বশেষ খবর