নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মসজিদের বারান্দা থেকে দিদারুল ইসলাম (২৬) নামে এক ইমামের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।
গতকাল ভোরে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের নারায়ণদিয়া (মল্লিকপাড়া) জামে মসজিদের ইমামের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত দিদারুল ইসলাম (২৬) নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আফতাব ফরাজির ছেলে। গত ২৬ জুলাই নারায়ণদিয়া জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। গত মঙ্গলবার ঈদ ছুটি শেষে মসজিদে আসেন তিনি। রাতে এশার নামাজের ইমামতি করেন। পরে ফজর নামাজের আগে মুসল্লিরা এসে মসজিদের বাইরের বাতি বন্ধ দেখে ইমামকে ডাকেন। শব্দ না পেয়ে ভিতরে ঢুকে দেখেন ইমামের গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। মসজিদের মুসল্লি খন্দকার শহীদুল ইসলাম বলেন, ২৬ জুলাই মসজিদের ইমাম হিসেবে যোগদান করেন দিদারুল এবং ঈদের ছুটির পর গত মঙ্গলবার মসজিদে ফিরে আসেন। বুধবার এশার নামাজের জামাত আদায় করার পর অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। পরে ফজর নামাজের সময় ইমাম সাহেবের লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। এ বিষয়ে মোরগাপাড়া চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ডের খতিব মহিউদ্দিন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, সদ্য যোগদানকারী ইমাম দিদারুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, তিনি কোনো সংস্থা বা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, একটি চক্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে খুন করেছে। পরে মসজিদের পুরান তালা ভেঙে নতুন তালা দিয়ে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।