বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সিগন্যাল না মানায়ই সর্বনাশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষ নিয়ে তিন কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ১৭ জনের প্রাণহানির ঘটনায় তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক ও তার সহযোগীদের দোষ পেয়েছে রেলওয়ের তিনটি তদন্ত কমিটি। কমিটিগুলো বলেছে, তূর্ণার লোকো মাস্টার, সহকারী লোকো মাস্টার ও গার্ড সিগন্যাল না মানায়ই এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে তদন্ত কমিটি পাঁচ সুপারিশও দিয়েছে। যার মধ্যে ট্রেন পরিচালকদের কার্যক্রম মনিটরিংয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও অটোমেটিক ট্রেন স্টপ সিস্টেম স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটিগুলোর প্রতিবেদন তুলে ধরতে গতকাল সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, কমিটিগুলো ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে তা প্রায় একই রকম। আন্তঃনগর ৭৪১ নম্বর তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের লোকো মাস্টার, সহকারী লোকো মাস্টার ও গার্ড সিগন্যালসমূূহ যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ না করে ট্রেন পরিচালনা করার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে মোট পাঁচটি সুপারিশ করেছে তিন তদন্ত কমিটি। এগুলো হলো- লোকো মাস্টার, সহকারী লোকো মাস্টারের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া, ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের শূন্যপদ পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া, ট্রেনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় ‘ক্লোজড ইউজার গ্রুপের’ মোবাইল ফোন বা আধুনিক অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা, বাংলাদেশ রেলওয়েতে এটিএস (অটোমেটিক ট্রেন স্টপ) সিস্টেম প্রবর্তন করা। এসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেন রেলমন্ত্রী।

১২ নভেম্বর রাত পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ স্টেশনের আউটার ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষে ১৭ জনের প্রাণ যায়, আহত হন অর্ধশতাধিক। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের একটি ও রেলের মহাপরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

সর্বশেষ খবর