শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বসুন্ধরায় শৈল্পিক সিরামিক পণ্যের জমজমাট প্রদর্শনী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরায় শৈল্পিক সিরামিক পণ্যের জমজমাট প্রদর্শনী

শৈল্পিক সিরামিক পণ্যের জমজমাট প্রদর্শনী ‘সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ-২০১৯’ চলছে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরা-আইসিসিবিতে। এতে সম্ভাবনাময় সিরামিক পণ্য বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরছেন বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা।

ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার জন্য উন্মুক্ত তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর পর্দা নামছে আজ। শেষ দিনেও সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত এ প্রদর্শনী। আইসিসিবির নবরাত্রী হলে ওয়েম বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় ‘সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ-২০১৯’। গতকাল প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে দেখা গেছে ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই আইসিসিবিতে ভিড় করেন এ খাতের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। স্পট অর্ডারের সুযোগ থাকায় বিদেশি ক্রেতাদের পাশাপাশি দেশি ক্রেতারাও অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে বিশ্বের ২০টি দেশের মোট ১২০টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫০টি ব্র্যান্ড অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া ৩০০ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ও ৫ শতাধিক ক্রেতা অংশ নিয়েছেন। আয়োজকরা জানিয়েছেন, নির্মাণ খাতের আধুনিক সিরামিক পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সিরামিক পণ্য, উপাদান, মেশিনারি ও প্রযুক্তি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে ও আধুনিক প্রযুক্তি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে আন্তর্জাতিক এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমরা সিরামিকের বিশ্ববাজারে ৪ শতাংশ অবদান রাখছি। আগামী পাঁচ-সাত বছরে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অবদান রাখতে পারব। রপ্তানি খাতে সরকার ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে। নগদ ১০ শতাংশ প্রণোদনা দিলে এ খাত আরও এগোবে। কারণ আমাদের উৎপাদিত পণ্য আন্তর্জাতিক মানের। আমাদের দক্ষ জনবল ও গ্যাস সহনীয় মূল্যে পাওয়ায় এটা সম্ভব হবে। তবে একটি সমস্যা রয়েছে। তা হলো সিরামিকের সব কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। পাশাপাশি আমদানি করা পণ্য লোড-আনলোডে অনেক সময় লেগে যায়।’ সিরামিক খাতের সম্ভাবনা তুলে ধরে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১০ বছরে এ খাতে উৎপাদন বেড়েছে ২০০ শতাংশ। বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। ৫০টির বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করে বছরে আমাদের আয় হয় প্রায় ৫ কোটি ডলার। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫ লাখ মানুষ এ খাতের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে দেশে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান সিরামিক পণ্য উৎপাদন করছে। আরও ১২টি উৎপাদনে যাবে।’ উল্লেখ্য, দর্শনার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্রর ব্যবস্থা করেছেন আয়োজকরা।

সর্বশেষ খবর