বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ সম্পাদকসহ আহত ৩০

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষে দুই দফা সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টা ও দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটক এলাকায় সভাপতি-সম্পাদক পক্ষের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে সাধারণ সম্পাদক রাকিবসহ অন্তত ৩০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে সভাপতি-সম্পাদক পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে এলাকাছাড়া করে মহাসড়কে অবস্থান নেন বিদ্রোহীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সকাল থেকেই ছাত্রলীগের দুই পক্ষে উত্তেজনা চলতে থাকে। প্রায় চার মাস পর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার উদ্দেশ্যে প্রধান ফটক এলাকায় অবস্থান নেন। এদিকে দলীয় টেন্টে অবস্থান নেন বিদ্রোহী পক্ষের নেতা-কর্মীরা। বেলা ১১টায় টেন্ট বিদ্রোহী পক্ষের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে ফটকের দিকে গেলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন আহত হন। পরে বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নেতা-কর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। এ সময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। একপর্যায়ে সভাপতি-সম্পাদক পক্ষের কর্মীরা পালিয়ে  যান। এ সময় সাধারণ সম্পাদক রাকিব গুরুতর আহত হন। এছাড়া উভয়পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে এবং কয়েকজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। পরে বিদ্রোহী পক্ষের নেতা-কর্মীরা খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করেন। এরপর আধা ঘণ্টা পর যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে মহাসড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন বিদ্রোহী পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর আনিচুর রহমান বলেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সকাল থেকেই প্রধান ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন ছিল। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ বলেন, সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর