আন্দোলনরত পাটকল শ্রমিকদের অসন্তোষ কমাতে জরুরি ভিত্তিতে ২৯২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। ‘এখনই এ অর্থ বরাদ্দ’ দেওয়া না হলে পুনরায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে চাওয়া অর্থ চলতি জানুয়ারি থেকে আগামী মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের মজুরি পরিশোধে ব্যয় হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) কর্মকর্তারা জানান, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন পাটকলগুলোয় নিয়োজিত শ্রমিকের সংখ্যা ২৭ হাজার ৯৫২। মিল শ্রমিকদের সর্বোচ্চ উৎপাদনের ভিত্তিতে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ১৩ সপ্তাহের জন্য মজুরি পরিশোধ করতে হলে ২৯২ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রয়োজন। এদিকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বিজেএমসির মিলের শ্রমিক অসন্তোষ নিরসন ও জাতীয় মজুরি স্কেল, ২০১৫ বাস্তবায়নের জন্য এ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া দরকার। বিজেএমসির মিলগুলোর ক্রমাগত লোকসানের কারণে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে না পারায় দিন দিন বকেয়া মজুরির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। বকেয়া না পেয়ে শ্রমিকরা এরই মধ্যে কয়েক দফা গেটসভা, সড়ক অবরোধ, আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দেয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে নতুন মজুরি কাঠামো-২০১৫ অনুযায়ী ‘পে-স্লিপ’ ইস্যুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রমিকদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করানো হয়। এখন নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী চলতি জানুয়ারি থেকে বেতন দিতে না পারলে আবারও শ্রম অসন্তোষের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিজেএমসির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রউফ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে আমরা নতুন মজুরি স্কেলে (২০১৫) চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বেতন পরিশোধ করতে চাইছি। ২০১০ সালের স্কেল অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে মজুরি বাবদ ব্যয় হতো ১০ কোটি টাকার মতো। এখন ২০১৫ সালের স্কেলে আমরা হিসাব করে দেখেছি প্রতি সপ্তাহে মজুরি দাঁড়ায় প্রায় ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ফলে বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে ২৯২ কোটি টাকা জরুরি ভিত্তিতে চাওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, তারা নতুন স্কেলে ছয় মাসের মজুরি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে নতুন করে তিন মাসের হিসাব দিয়েছেন। বকেয়া আদায় ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে পাটকল শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন গত বছরের শেষের দিকে। পরে দাবি আদায়ে আমরণ অনশন শুরু করেন। পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকদের সন্তানরা। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। পরে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ সভাস্থলে উপস্থিত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ফোন করে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধে পে-স্লিপ প্রদানসংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের কথা জানান। ১৫ দিনের মধ্যে পে-স্লিপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন শ্রমিকরা।
শিরোনাম
- নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর