বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

উপকূলে লবণসহিষ্ণু ধান চাষে সাফল্য

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম


উপকূলে লবণসহিষ্ণু ধান চাষে সাফল্য

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় ছয়টি ইউনিয়নের ধানি জমিগুলো ৯০ দশকের পর লবণাক্ত পানির আগ্রাসনের কবলে পড়ে। বছরজুড়ে চাষাবাদ হওয়া জমিগুলো অতিমাত্রায় লবণাক্ততার কারণে অনেকটা পতিত জমিতে পরিণত হয়। কমতে শুরু করে চাষাবাদ। তবে প্রায় তিন বছর ধরে এসব জমিতে লবণসহিষ্ণু ধান চাষ শুরু করেন স্থানীয় কৃষকরা। এতে সফলতাও পান।  উৎপাদিত লবণসহিষ্ণু জাতের ধানের মধ্যে আছে ব্রি-৪৭, ব্রি-৫৫, ব্রি-৬৭, বিনা-৮ ও বিনা-১০।  বাঁশখালী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় লবণাক্ত জমি রয়েছে দুই হাজার ৮০ হেক্টর। এর মধ্যে বোরো মৌসুমে কিছু জমিতে ধান ও লবণ উৎপাদন হয়। গত মৌসুমে ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে লবণ সহিষ্ণু ধান চাষ করা হয়। এতে প্রতি হেক্টর জমিতে সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪টন পর্যন্ত ধান উৎপাদন হয়েছে। গন্ডামারা ইউনিয়নের কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘লবণাক্ততার কারণে জমিতে চাষাবাদ করা যেতো না। কিন্তু গত তিন বছর ধরে লবণসহিষ্ণু ধান চাষাবাদ করা হচ্ছে।   ৮০ শতক জমিতে লবণসহিষ্ণু ধান রোপণ করে প্রায় ৪ টন উৎপাদন হয়েছে। এসব জমি আগে খালি পড়ে থাকত।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, ‘বাঁশখালীর উপকূলীয় ছয় ইউনিয়নের অনেক জমি লবণাক্ত। এসব জমিতে কোনো ধরনের ফসল উৎপাদন সম্ভব হয় না। বোরো মৌসুমে কিছু জমিতে ধান হতো। সেটিও খুবই কম। কিন্তু উপজেলা কৃষি অফিস এসব জমিতে লবণসহিষ্ণু ধান চাষের উদ্যোগ নেয়। এরপর কৃষকদের সঙ্গে এটা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রথমে অনেক কৃষক আগ্রহ দেখায়নি। পরে পরিক্ষামূলক শুরু করে সফলতা পান। এখন চাষাবাদ করে আগের তুলনায় বেশি ধান উৎপাদন হয়েছে। এ বছর উপকূলীয় জমিগুলোতে প্রায় ৫ হাজার টন ধান উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদন বাড়ায় কৃষকরা আশাবাদী। আগামীতে লবণসহিষ্ণু জমিতে চাষাবাদের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর