বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

তুরাগে ৩০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে তিন মাস সময়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম

তুরাগ তীরে অভিযান চালিয়ে বহুতল ভবনসহ ৩০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। গতকাল বিশেষ অভিযানের চতুর্থ দিনে টঙ্গী রেলব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়। অভিযানে 

দশমিক ৫ একর তীরভূমি অবমুক্ত করার পাশাপাশি দখলদারদের ২৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, নদী রক্ষায় এর আগে ৫০ কার্যদিবসে ব্যাপকভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। ফের দখল শুরু হতে দেখে বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে। গতকাল থেকে বিশেষ অভিযানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। এদিন তিনটি পাকা স্থাপনা, নয়টি আধা পাকা স্থাপনা, তিনটি পাকা ওয়াল ও ১৫টি টিনের ঘর উচ্ছেদ করা হয়। এ ছাড়া নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ চালু করতে আনুমানিক ১৫০ মেট্রিক টন বর্জ্য উত্তোলন করা হয়। আজ (বুধবার) সকাল ৯টা থেকে টঙ্গী রেলব্রিজের পূর্বপাশ থেকে অভিযান চলবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে তিন মাস সময় : চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে থাকা কর্ণফুলী নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে তিন মাস সময় দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আগে সংশ্লিষ্ট স্থানের পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের তলবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ গতকাল হাজির হওয়ার পর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর বলেন, ‘উচ্ছেদ কার্যক্রমে আমাদের সহায়তায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১২ মে দিন রেখেছে আদালত। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।’ কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখলসংক্রান্ত ২০১০ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। রিটের পর আদালত রুল জারি করে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল। ওই রায় অনুসারে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কদিন চলার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৯ এপ্রিল কর্ণফুলীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদে বন্দর চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে সময় আবেদন করায় আদালত বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে তলব করেছিল।

সর্বশেষ খবর