সোমবার, ৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
জেলার রাজনীতি বাগেরহাট

শক্তিশালী আওয়ামী লীগ ভাটার টান বিএনপিতে

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

বাগেরহাট জেলায় সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী। একটানা ১১ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে দলটি তৃণমূলে আরও শক্তি অর্জন করেছে। একমাত্র মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র ছাড়া জেলার ৪টি সংসদীয় আসন, ২টি পৌরসভা ও ৭৫টি ইউনিয়নের সব জনপ্রতিনিধি আওয়ামী লীগের।

গত ৯ ডিসেম্বর দলের জেলা সম্মেলন হয়েছে। সম্মেলনে ডা. মোজাম্মেল হোসেন সভাপতি, শেখ কামরুজ্জামান টুকু সাধারণ সম্পাদক ও খান হাবিবুর রহমানকে এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা  হয়। তবে এখনও পূর্ণাঙ্গ হয়নি জেলা কমিটি। গত ১০ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন প্রায় চার দশক ধরে সভাপতির দায়িত্বে থাকা ডা. মোজাম্মেল হোসেন।  দলের শক্ত অবস্থানের মধ্যেও মোরেলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নে যুবদলের শহিদুল ইসলাম ফকিরকে নৌকা প্রতীক দিয়ে চেয়ারম্যান করা হয়। দলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা তা মেনে না নেওয়ায় ওই চেয়ারম্যানের হাতে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হতে হয় দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিহিদার আনসার আলী ও যুবলীগ নেতা শুকুর আহম্মেদকে। বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ  হেলাল উদ্দিন ও শেখ হেলালপুত্র শেখ সারহান নাসের তন্ময় বাগেরহাট- ১ ও ২ আসনের এমপি থাকায় তারা শক্ত হাতে সাংগঠনিক কর্মকা  দেখভাল করায় দলে কোনো গ্রুপিং নেই। বাগেরহাটে একসময়ে বিএনপি ছিল অনেক শক্তিশালী। বাগেরহাট শহরকে বলা হতো বিএনপির দুর্গ। বিএনপির সাবেক মহাসচিব, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের মৃত্যুর পর থেকেই বাগেরহাট বিএনপিতে শুরু হয় ভাটার টান যা এখনো চলছে। মোংলা পোর্ট পৌরসভার একমাত্র মেয়র ছাড়া কোথাও বিএনপির কোনো জনপ্রতিনিধি নেই। বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিল বলেন, বাগেরহাটে প্রকাশ্যে মিছিল, সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে এর মধ্যেই আওয়ামী লীগ ও দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের নানা অপতৎপরতা উপেক্ষা করে বর্তমানে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জাতীয় পার্টির জেলা কমিটি থাকলেও কোনো রাজনৈতিক কর্মকা  নেই। তবে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা  চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা গেলে  জেলা জাপার পক্ষ থেকে পার্টি অফিসে কুলখানির আয়োজন করা হয়েছিল। জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক দাবি করেছেন, জেলাসহ প্রতিটি ইউনিটে তাদের কমিটি রয়েছে। জেলায় বাম দলগুলোর মধ্যে সিপিবি ছাড়া আর কোনো দলের দৃশ্যমান কর্মকা  নেই। ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ইনু, জাসদ রব, বিকল্পধারার জেলা কমিটি থাকলেও তাদের কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা নেই। এমনকি ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। ইসলামী দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর জেলাব্যাপী প্রকাশ্যে কোনো তৎপরতা নেই। তবে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন শহরে মাঝে-মধ্যে মিছিল করে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর