সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

শ্রমজীবীদের রেশনিং সুবিধা দিতে হবে

-ড. আতিউর রহমান

শ্রমজীবীদের রেশনিং সুবিধা দিতে হবে

করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় সরকারকে সামাজিক সুরক্ষা হিসেবে দেশের শ্রমজীবী মানুষদের জরুরি ভিত্তিতে রেশনিং সুবিধা প্রদানের পরামর্শ দিয়েছেন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেছেন, এ সংকট উত্তরণে প্রথমে মানবিক, তারপর অর্থনৈতিক দিকে নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে শ্রমজীবী মানুষকে মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা ব্যবহার করে নগদ সহায়তা দিতে হবে। আবার খাদ্যসামগ্রী প্যাকেটজাত করে সরবরাহ করতে পারলেও ভালো হবে।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, করনোভাইরাসের প্রভাবে ইতিমধ্যে কয়েকটি খাতের শ্রমিকদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা বেশি বিপদে পড়ছেন। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হলে সাধারণ শ্রমিকদের কর্মসংস্থান বন্ধ হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ারের এ অধ্যাপক বলেন, সরকারের উচিত হবে, তৃণমূলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে এমপি-মন্ত্রীদের সক্রিয়ভাবে কাজে লাগিয়ে শ্রমজীবী মানুষকে সহায়তা দান। প্রতিষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানবিক দিক থেকে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন অব্যাহত রাখতে হবে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান বলেন, সারা দেশের স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য সুরক্ষাসামগ্রী জরুরিভিত্তিতে সরকারকে তৈরি করতে হবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের সবাইকে সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মসূচি বা সিএসআর তহবিলের অর্থ বাড়াতে হবে। শ্রমজীবী মানুষজনদের খাবার সহায়তা দিতে হবে। ড. আতিউর রহমান বলেন, এ সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হবেন এসএমই বা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। তাদের শূন্য সুদে ঋণ দিতে হবে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকে বন্ড ছেড়ে সরকার তহবিল সংগ্রহ করতে পারে। এক্ষেত্রে নতুন নতুন অভিনব কৌশল গ্রহণ করতে হবে। চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট কাটছাঁট করে স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে অর্থ সরবরাহ বাড়াতে হবে।

সর্বশেষ খবর