কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেই মহামারী করোনা পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা সম্ভব হচ্ছে। বিশ্বের তাবৎ উন্নত দেশ যখন এই মহামারী মোকাবিলায় নাকানি-চুবানি খাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার অনেক কম। এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, কেবল করোনা মোকাবিলায় নয়, বৈশ্বিক এই সংকটকালে যাতে দেশের একজন মানুষও না খেয়ে না থাকে সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। লকডাউনের সময় কুষ্টিয়ায় অসহায় ও দুস্থ মানুষদের সব রকম সাহায্য করা হয়েছে। এসব মানুষ যেমন সরকারি ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে, তেমনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা। জেলার ছয় উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সব সংগঠন একযোগে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এই করোনাকালে জেলায় একজন মানুষও না খেয়ে থাকেনি। যারা লোকলজ্জার ভয়ে প্রকাশ্যে সহযোগিতা নিতে পারেনি, ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীরা তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। তারা শহর থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন। সদর উদ্দিন খান বলেন, আমরা কাজে বিশ্বাসী তাই নীরবে সব কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার জনগণের অভিভাবক আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ জীবনের মায়া ত্যাগ করে বারবার কুষ্টিয়া ছুটে এসেছেন। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন ত্রাণ বিতরণ করেছেন। কুষ্টিয়ার মানুষ যাতে দ্রুত করোনার পরীক্ষার করাতে পারেন, সেজন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে পিসিআর ল্যাব চালুর ব্যবস্থা করেন তিনি। এই ল্যাবে কেবল কুষ্টিয়া নয়, আশপাশের ৫-৬টি জেলার মানুষও টেস্ট করাতে পারছেন দ্রুত সময়ে। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের এই সফলতা বিরোধী দল বিএনপির চোখে পড়ে না। তারা বিপদের দিনে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে মিডিয়ায় মুখ দেখানো নিয়ে ব্যস্ত।
