শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কোরবানপুরে আতঙ্ক কাটেনি, এখনো ফিরে আসেনি দুটি পরিবার

কুমিল্লা প্রতিনিধি

ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে হামলার ঘটনায় ১৩ দিনেও আতঙ্ক কাটেনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোরবানপুরে। ভয়ে এখনো বাড়ি ফেরেনি দুটি পরিবার। পোড়া বাড়িতে আতঙ্কে দিন কাটছে ক্ষতিগ্রস্তদের।

স্থানীয়রা জানান, গত ১ নভেম্বর ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় সাতটি বাড়ি, মন্দির ও ভোজনালয়। ভয়ে এখনো ভিটায় ফেরেনি মনিলাল দেবনাথ ও শংকর দেবনাথের পরিবার। যারা বসতভিটায় আছেন তাদের মাঝে গভীর আতঙ্ক রয়েছে। এ বিষয়ে পূর্ব ধৈইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বনকুমার শিব বলেন, ১ নভেম্বরের ঘটনায় আমার বাড়িসহ ছয়টি বাড়ি ও মন্দির পুড়িয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্ত। ঘটনার পর স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু সহযোগিতা করেছে। এখনো সরকারি সহযোগিতা আসেনি। ক্ষতিগ্রস্ত সবাই আতঙ্কে আছেন। এমন আতঙ্কের কারণে এখনো দুটি পরিবার ভিটায় ফেরেনি।  ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহযোগিতার বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য টিন এসেছে। নগদ অর্থ আসা বাকি আছে। দু-এক দিনের মধ্যে তারা টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা পাবেন। এদিকে কোরবানপুরে সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।  উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর মহানবীকে (সা.) ব্যঙ্গ করে কোরবানপুর ও আন্দিকুটের দুজন ব্যক্তি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়লে  কোরবানপুরে বিক্ষোভ শুরু হয়। ওইদিন বিকালে বাঙ্গরা বাজার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন কোরবানপুরের ধনমিয়া নামে এক ইউপি সদস্য। এ ঘটনায় রাতেই দুই অভিযুক্ত কোরবানপুর গ্রামের রায় মোহন দেবনাথের ছেলে স্থানীয় ব্লু বার্ড কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক শংকর দেবনাথ ও আন্দিকুট গ্রামের জীবন ভৌমিকের ছেলে অনিক ভৌমিককে পুলিশ আটক করে। পরের দিন ২ নভেম্বর সকালে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। বিকাল ৩টায় কোরবানপুর বাজারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মসজিদের ইমামদের নিয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানে মিটিং শুরু হয়। মিটিং চলাকালীন কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেয় একদল লোক। এ সময় তার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাড়ির সব মালামাল।

সর্বশেষ খবর