বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে মাদক আসছে হুহু করে, একই সঙ্গে এপার থেকে যাচ্ছে সোনা। বিজিবি প্রতিনিয়ত জব্দ করছে এসব। জড়িতদের গ্রেফতারও করছে, কিন্তু পাচার বন্ধ হচ্ছে না। বিজিবির এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালে বেনাপোল সীমান্ত থেকে শুধু যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অভিযানে ১১৯ কোটি ৮২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের মাদক, সোনা, আগ্নেয়াস্ত্র, বৈদেশিক মুদ্রা, চন্দন কাঠ, কসমেটিক্স ও গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্য জব্দ হয়েছে। এ সময় পাচারের সঙ্গে জড়িত ৩০৪ জনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বেনাপোল পৌর শাখার সভাপতি মহসিন মিলন জানান, ২০১৮ সালে বেনাপোল সীমান্তের ৮.৩ কিলোমিটার বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষণা করলেও তার তেমন সুফল মেলেনি। বিজিবি-বিএসএফের নজর এড়িয়ে প্রতিনিয়ত ঢোকছে মাদক, অস্ত্র, সোনাসহ বিভিন্ন চোরাচালান পণ্য। সে কারণে সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আধুনিকায়ন ও জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি ও ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের আন্তরিক হতে হবে। যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা জানান, বেনাপোল
বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকা। এত কাছাকাছি জনবসতি চোরাচালান রোধ করা কঠিন। মূল হোতারা স্থানীয় অসহায় মানুষগুলোকে ব্যবহার করে পাচার কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ফলে সহজে মাদক প্রবেশ করে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অভ্যন্তরে। তবে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।