শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বুড়িগঙ্গার তীরের ৭৩ স্থাপনা উচ্ছেদ

বাদ পড়ছে না টং ঘর থেকে বহুতল ভবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দখলদারের হাত থেকে বুড়িগঙ্গা রক্ষার বিশেষ অভিযানের তৃতীয় দিনে নদীর সীমানায় থাকা ৭৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কামরাঙ্গীরচরসহ ঠোটারমাথা-সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় টং দোকান থেকে বহুতল ভবন।

অভিযানে তিনটি তিনতলা বিল্ডিং, সাতটি দোতলা বিল্ডিং, পাঁচটি একতলা পাকা বিল্ডিং, ৩৫টি আধাপাকা বিল্ডিং ও দোকানঘর, একটি দোতলা টিনের ঘর, ১০টি টিনের ঘর ও ১২টি টংঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। উদ্ধার করা হয় আধা একর তীরভূমি। এর আগের দুই দিনে ১৮৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় চার একর নদীর জায়গা উদ্ধার করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিলের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সংস্থাটির ঢাকা নদী বন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী, সহকারী পরিচালক রেজাউল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, এই এলাকায় গণপূর্ত বিভাগ থেকে ভুল জায়গায় বেশ কিছু পিলার বসানো হয়েছিল। সেই সুযোগে দখলদাররা সেখানে স্থাপনা গড়ে তোলেন। যৌথ জরিপের মাধ্যমে ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর সীমানা চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী বলেন, উচ্ছেদ শেষে উদ্ধার করা জায়গায় স্থায়ী সীমানা পিলার বসানো হবে।

সর্বশেষ খবর