শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

নির্বাচনের নামে সরকারের ইচ্ছাকে বৈধতা দিচ্ছে ইসি

-ড. আহমদ আবদুল কাদের

নির্বাচনের নামে সরকারের ইচ্ছাকে বৈধতা দিচ্ছে ইসি

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, ২০১৮ সালে সরকার ও তার তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে সমূলে ধ্বংস করেছে। বর্তমানে অনেকটা তারই ধারাবাহিকতা চলছে। এখানে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার নেই বললেই চলে। যেখানে সরকার চায় সেখানেই কিছুটা প্রয়োগ করতে পারে। জনগণের রায় নয় সরকারের ইচ্ছেটা বড় কথা। আর নির্বাচন কমিশন শুধু সরকারি ইচ্ছাকে বৈধতা দেওয়ার আয়োজন করছে মাত্র। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি। দলের সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে  ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, করোনাকালীন সামর্থ্য অনুযায়ী ত্রাণ তৎপরতা ও সেবা কার্যক্রম চলে। ২০২১ সালে নতুনভাবে তৎপরতা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় মজলিস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ২০২১-২০২২ সাংগঠনিক বছরের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন ও দুই বছরের পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এখন সারা দেশে জেলা ও অধঃস্তন কমিটিসমূহ পুনর্গঠন চলছে। কর্মীদের নৈতিক, জ্ঞানগত, আধ্যাত্মিক ও সাংগঠনিক মান ও দক্ষতা বৃদ্ধি প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, মানববন্ধনের মতো কর্মসূচির জন্য অনুমতি লাগে যা খুবই দুঃখজনক।

 ইসলামী দলগুলোতে এত বিভক্তি কেন জানতে চাইলে বলেন, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ইসলামী দলগুলো গড়ে উঠেছে। এগুলোকে বিভক্তি হিসেবে দেখা সঠিক নয়। সমাজতন্ত্র ও অন্যান্য আদর্শ কায়েমের জন্য কত দল বাংলাদেশে আছে তা কি হিসাব করে দেখেছেন? ইসলামী দলগুলো ইসলাম ও দেশের স্বার্থের প্রশ্নে এক হতে পারে অতীতে অনেক বার তা প্রমাণিত হয়েছে এখনো হচ্ছে। তবে এক হওয়া মানে একদল হওয়া নয়। দেশের সামগ্রিক অবস্থা কেমন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রায় ক্ষেত্রে ভেঙে পড়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনই যেন মূল কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার পরিস্থিতিও খুবই করুণ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলছে। মানুষের আয় অনেক হ্রাস পেয়েছে। সব মিলিয়ে অবস্থা ভালো নয়।

সরকারের সাফল্য ব্যর্থতা প্রসঙ্গে বলেন, এক যুগের অধিককাল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। কিছু মেগা প্রকল্প চলছে তা ইতিবাচক। সেগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি। বরং সেগুলো  থেকে মেগা দুর্নীতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্রের নাম ও বক্তৃতা আছে কিন্তু কার্যত দেশ এক ভয়াবহ একদলীয় ফ্যাসিবাদীমূলক ব্যবস্থার অধীনে শাসিত হচ্ছে। ন্যায় শাসনের বদলে চলছে দলীয় ও পুলিশি শাসন। সর্বত্র বিশৃঙ্খলা। দেশে এক নীরব ক্ষোভ বিরাজমান। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উৎযাপনের সময়েও স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও লক্ষ্যসমূহ গণতন্ত্র, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্য এখনো বহু দূরের বস্তু রয়ে গেছে। সরকারের কাছে আপনাদের দাবি কী জানতে চাইলে বলেন, অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং তার ভিত্তিতে সরকার গঠন করা।

সর্বশেষ খবর