শিরোনাম
বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

বাংলাদেশের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১২ এপ্রিল পেনসিলভেনিয়া স্টেটের ফিলাডেলফিয়া সিটিতে ব্যতিক্রমধর্মী এক সমাবেশে মার্কিন কংগ্রেসের তিন প্রভাবশালী সদস্য বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে একযোগে কাজের অঙ্গীকার করলেন। একই সঙ্গে কঠোর পরিশ্রমী ও মেধাবী বাংলাদেশি-আমেরিকানদের প্রশংসা করে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও স্যালুট জানানো হলো। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে কীভাবে উন্নয়নের মডেলে পরিণত করা হয়েছে তা উপস্থাপনের পাশাপাশি ৫০ বছরের পথচলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রসঙ্গও এসেছে এ অনুষ্ঠানে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এশিয়াবিষয়ক উপদেষ্টা ও ফিলাডেলফিয়া সিটির সাবেক ডেপুটি মেয়র ড. নীনা আহমেদের উদ্যোগে ক্র্যান কমিউনিটি সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ অনুষ্ঠান শুরু হয় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে। এরপর বাংলাদেশের এগিয়ে চলা নিয়ে ভিডিও প্রদর্শনে ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গও উপস্থাপিত হয়। মার্কিন কংগ্রেসে ওয়েজ অ্যান্ড মিন্স কমিটির প্রভাবশালী সদস্য কংগ্রেসম্যান ডুইট ইভান্স শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ‘২০১৯ সালে আমি বাংলাদেশ সফর করেছি। তখন দেখেছি বাংলাদেশ কীভাবে উন্নতি করছে। বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে। এ উন্নয়নে আমরাও অংশীদার এবং পারস্পরিক সহযোগিতার দিগন্ত বাড়াতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনও অঙ্গীকারবদ্ধ।’ তিনি বলেন, ‘সবাইকে নিয়েই উন্নয়ন ঘটাচ্ছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রেও তা করতে চাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। দুই দেশ সে পথেই হাঁটছে।’ কংগ্রেসে জুডিশিয়ারি কমিটির প্রভাবশালী সদস্য কংগ্রেসওম্যান ম্যারি গ্যা শ্যানিয়ন বলেন, ‘আমি নিজেকে সব সময় বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু মনে করি। আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি বাংলাদেশিই আমাকে সর্বক্ষণ অভিভূত করে রাখায় বাংলাদেশ সম্পর্কে চমৎকার একটি ধারণা তৈরি হয়েছে হৃদয়পটে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। একে আরও ফলপ্রসূ করতে আমরা বাংলাদেশি-আমেরিকানদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই।’ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের পাশাপাশি নতুন রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলামকেও সংবর্ধনা জানান ফিলাডেলফিয়াবাসী। এ সময় রাষ্ট্রদূত শহীদ বাংলাদেশের উন্নয়নে কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসকে পুনরুজ্জীবিত করার অনুরোধ জানান কংগ্রেসম্যানদের প্রতি। অনুষ্ঠানে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ড. ইবরুল হাসান চৌধুরী, আবদুল কাদের মিয়া, নুরুল হাসান, শেখ সিদ্দিক, মো. হারেস, মো. আনাম চৌধুরী, ডা. ফাতেমা আহমেদ, তোজাম্মল হক, আহসান নসরতউল্লাহ, হাবিবুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানের হোস্ট ও সঞ্চালক ড. নীনা আহমেদ বলেন, ‘যেখানে যে অবস্থায়ই থাকি না কেন কখনো ভুলতে পারি না প্রিয় মাতৃভৃমি, বাঙালিত্বকে। সে তাগিদেই আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাই।’

সর্বশেষ খবর