রবিবার, ৩০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

আশুলিয়ায় বাসে গণধর্ষণ

চালকের স্বীকারোক্তি, রিমান্ডে পাঁচজন

আদালত প্রতিবেদক ও সাভার প্রতিনিধি

আশুলিয়ায় বাসে গণধর্ষণ

আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে নারী শ্রমিক (২৫) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগরের ডিসি নার্সারির সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসচালক সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত। এ ছাড়া মামলার অপর পাঁচ আসামিকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার বিচারিক হাকিম শাহাজাদী তাহমিদা রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ করিম বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিক মানিকগঞ্জে তার বোনের বাসায় বেড়িয়ে রূপগঞ্জে যাওয়ার জন্য বাসে শুক্রবার রাতে নবীনগর আসেন। নবীনগরে তার পূর্বপরিচিত ভাইয়ের সঙ্গে টঙ্গী যাওয়ার জন্য ‘নিউ গ্রাম বাংলা’ পরিবহনের মিনিবাসে ওঠেন। বাসের চালক টঙ্গী না গিয়ে অন্য যাত্রীদের নামিয়ে গাড়ি চালিয়ে নবীনগরের ডিসি নার্সারির সামনে চলে আসেন। এ সময় সঙ্গের যুবকটিকে গাড়িতে হাত-পা বেঁধে রেখে চালকসহ ছয়জন ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। তার চিৎকারে মহাসড়কে টহলরত সাভার হাইওয়ে পুলিশ গাড়িটি জব্দ, ছয় অভিযুক্তকে আটক ও ওই নারীকে উদ্ধার করে।

পরে ওই নারী ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। আটকরা হলেন ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (২০), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২১), বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারির সুলতান মিয়ার ছেলে চালক সুমন (২৫) ও তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫), দুপচাঁচিয়ার জিয়ানগর গ্রামের শামসুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০) ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার ধামঘরের

জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪)। তারা সবাই তুরাগ থানার কামারপাড়া ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কের মিনিবাস শ্রমিক। মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলন্ত বাসে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন আসামি বাসচালক সুমন। গতকাল দুপুরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগে ওই নারীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।

এদিকে সাভার ও আশুলিয়ার শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শ্রমিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গণধর্ষণের শিকার ওই নারী রূপগঞ্জে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার বাড়ি লালমনিরহাটে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর