রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

চাঁদপুরে কিশোররা ধরল মেছো বাঘ

নেয়ামত হোসেন, চাঁদপুর

চাঁদপুরে কিশোররা ধরল মেছো বাঘ

চাঁদপুরে কিশোররা মাটি খুঁড়ে একটি মেছো বাঘের শাবক আটক করেছে। সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের রামদাসদী গ্রামের কৈয়ারবিল বাজারে খেলার মাঠ থেকে মেছো বাঘটি আটক করা হয়। এলাকাবাসী জানান, মেঘনার পানি বৃদ্ধি ও চরাঞ্চলের জঙ্গলে খাদ্য সংকটে অনেক প্রাণী লোকালয়ে চলে আসছে।

আগেও কয়েকবার এ ধরনের মেছো বাঘ ধরা হয়েছে। পরে চাঁদপুর বন বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। আমাদের এলাকার পার্শবর্তী চর এলাকা। সেখানে বড় বড় জঙ্গল আছে। এসব জঙ্গলে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে বিষধর সাপও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই চরে খাবার সংকটের কারণে মেছো বাঘসহ বিভিন্ন প্রাণী নদী সাঁতরিয়ে গ্রামে চলে আসছে। শুক্রবার বিকালে মেছো বাঘের শাবকটিকে চাঁদপুর বন বিভাগের সহায়তায় উদ্ধার করে ঢাকা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে একদল কিশোর মাঠে খেলার সময় হঠাৎ দেখতে পায় বিড়াল আকৃতির একটি মেছো বাঘ খেলার মাঠের পাশে উঁচু একটি স্থানে বসে তাকিয়ে আছে। কিশোররা এই মেছো বাঘটিকে ধরতে গেলে পার্শ্ববর্তী মাটির গর্তে ঢুকে পড়ে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কিশোরদের সঙ্গে কিছু যুবক একত্রিত হয়ে রাতে মাটি খুঁড়ে গর্ত থেকে মেছো বাঘের শাবকটিকে ধরে রাস্তায় নিয়ে আসে। মেছো বাঘটি তখন নড়াচড়া করতে পারছিল না। সবার ধারণা, মেছো বাঘটি অনাহারে একেবারে নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। তা না হলে এত সহজে এটিকে ধরা সম্ভব হতো না। উপস্থিত কিশোররা টাকা খরচ করে স্থানীয় বাজার থেকে মুরগি কিনে এনে মেছো বাঘের শাবককে খেতে দেয়। সেই মুরগি খেয়ে মেছো বাঘটি অনেকটা শক্তি অর্জন করে এবং নড়াচড়া দিতে থাকে। পরে মেছো বাঘটিকে খাঁচায় বন্দী করে রাখা হলে উৎসুক এলাকাবাসী বাজারে ছুটে আসে। স্থানীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সফিকুর রহমান গাজী জানান, এলাকার একদল কিশোর মেছো বাঘটিকে দেখে প্রথমে বন বিড়াল ভেবেছিল। এটিকে নিয়ে তারা হইহুল্লোড় করছিল। তাদের হইহুল্লোড় শুনে সেখানে গিয়ে দেখি, একটি মেছো বাঘ গর্তে লুকিয়ে আছে। পরে কিশোরদের সঙ্গে যুবকরা রাত ৮টায় মেছো বাঘটি আটক করে খাঁচায় বন্দী করে। চাঁদপুর বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, আগেও এই এলাকা থেকে স্থানীয়রা মেছো বাঘ আটক করে বন বিভাগে দিয়েছে। এ এলাকার কাছে নদী ও খাল থাকায় চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে খাবারের সন্ধানে মেছো বাঘের শাবকরা এখানে চলে আসে। মেছো বাঘটি দীর্ঘদিন অনাহারে থেকে অনেক নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। এটিকে পশু চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর