তিন সপ্তাহের মধ্যে তিন ধরনের তথ্য জানতে চেয়ে ইভ্যালির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল পাঠানো চিঠিতে সম্পদ ও দায়ের বিবরণী ১৯ আগস্টের মধ্যে, মোট গ্রাহক ও গ্রাহকের কাছে দেনার পরিমাণ ২৬ আগস্টের মধ্যে এবং মার্চেন্টদের কাছে দেনার পরিমাণ ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি নিয়ে ইভ্যালি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে কাউকে খুঁজে পাননি চিঠিবাহক। কোম্পানিটির কার্যালয় বন্ধ দেখতে পান তিনি। এ সময় কার্যালয়ের বক্সে চিঠি রেখে আসা হয়। এ ছাড়া ইভ্যালির মেইলেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। কার্যালয় বন্ধ নিয়ে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, আমরা আপাতত হোম অফিস করছি। পরিস্থিতি বুঝে অফিস খোলা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইভ্যালির দায় নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর পর গ্রাহকের ক্ষোভ থেকে বাঁচতে জুলাই থেকে প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডির কার্যালয় বন্ধ রয়েছে। গ্রাহকরা অভিযোগ করছেন কলসেন্টারেও সাড়া পাচ্ছেন না তারা। ওই সময় অফিস বন্ধ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির এমডি জানিয়েছিলেন, করোনার কারণে তাদের একটি অংশ বাসায় থেকে কাজ করছে। এরপর ১৯ জুলাই কোম্পানিটিকে সব দায়দেনার হিসাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। জবাবে ছয় মাস সময় চেয়ে ৩১ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে ইভ্যালি। বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ ধরনের তথ্যের জন্য সর্বোচ্চ ৩ সপ্তাহ সময় দেওয়ার। সে চিঠিই গতকাল প্রতিষ্ঠানটিকে পাঠানো হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তথ্য জানতে চেয়ে ব্যক্তি মারফত সরাসরি ও ডিজিটাল মাধ্যমে মেইলে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ে।