২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দেশে আসছে ৮ লাখ ৯ হাজার টন সেদ্ধ ও আতপ চাল। সম্প্রতি বেসরকারিভাবে দুই দফায় আমদানির জন্য ১৬৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
গতকাল ৯২টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে বরাদ্দ রয়েছে নন বাসমতি সেদ্ধ চাল ৩ লাখ ৫৮ হাজার টন এবং আতপ চাল ৩৩ হাজার টন। এর আগে ১৮ আগস্ট ৭১টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির অনুকূলে আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। ওই দফায় চালের পরিমাণ ছিল নন বাসমতি সেদ্ধ চাল ৩ লাখ ৬২ হাজার টন এবং আতপ চাল ৫৬ হাজার টন। উভয় ক্ষেত্রেই শর্ত- চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে। আমদানি শর্তে আরও বলা হয়েছে, বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ইমেইলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে। বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে বলেও শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রসঙ্গত, অনেক দিন ধরেই দেশে চালের বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। বোরো মৌসুমেও চালের বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গরিবের মোটা চালের কেজিপ্রতি দাম ৫০ টাকার কাছাকাছি। চিকন চালের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এমতাবস্থায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকাভিাবেও চাল আমদানির সুযোগ দিল সরকার।