রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

শঙ্কা বাড়াচ্ছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন

জয়শ্রী ভাদুড়ী

শঙ্কা বাড়াচ্ছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শুক্রবার করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটির কথা প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যার নাম দেওয়া হয় ওমিক্রন। ভ্যারিয়েন্টটির বিপুলসংখ্যক মিউটেশন রয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি উদ্বেগের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি। এই ভ্যারিয়েন্টটি অত্যন্ত আগ্রাসী। সে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থগিত করা হচ্ছে। অন্য দেশগুলো থেকে যারা আসবেন তাদের স্ক্রিনিংয়েও যেন কড়াকড়ি আরোপ করা হয়, সে বিষয়ে বন্দরগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি মানুষকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে তাগিদ দিতে সব জেলা পর্যায়ে প্রশাসনের কাছে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় এই ভ্যারিয়েন্টে মিউটেশনের সংখ্যা অনেক বেশি। এই ভ্যারিয়েন্ট টিকা থেকে প্রাপ্ত সুরক্ষাব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। পাশাপাশি এমনও ধারণা করা হচ্ছে, এই ভ্যারিয়েন্টটি আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা রাখে। প্রথমবার ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার খবর জানতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পরে বতসোয়ানা, ইসরায়েল, বেলজিয়াম ও হংকংয়েও এর উপস্থিতি পাওয়া যায়। এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঠেকাতে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি দেশে যাওয়া এবং সেসব দেশ থেকে প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি ও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেশ কিছু দেশ। যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী আইরিশ বা ব্রিটিশ নাগরিক ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, লেসোথো ও এসওয়াতিনি থেকে ভ্রমণ করে আসা ব্যক্তিদের জন্য যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি ভাইরাসের পরিবর্তন বা মিউটেটেড হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু মিউটেশন যখন সংক্রমণের ক্ষমতা, তীব্রতা অথবা টিকার কার্যকারিতার ওপর প্রভাব ফেলে তখন তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই কভিড ঠেকাতে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

সর্বশেষ খবর