বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

বাণিজ্যিকভাবে ত্বিন ফল চাষ

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বাণিজ্যিকভাবে ত্বিন ফল চাষ

বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে ত্বিন ফলের চাষ শুরু হয়েছে। জেলার শাজাহানপুর উপজেলার তুরস্ক-ফেরত যুবক সোয়েব সাদিক নবীন বাণিজ্যিকভাবে এই ত্বিন ফলের চাষ করেছেন। তার বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে ত্বিন ফল। এসব ফল ও চারা বিক্রি তার লক্ষ্য। জানা যায়, সিঙ্গাপুরে গিয়ে তুরস্কের এক যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় বগুড়ার শাজাহানপুরের আড়িয়া পালপাড়ার সোয়েব সাদিক নবীনের। সেখানেই ত্বিন ফলের স্বাদ পেয়েছেন, পাশাপাশি চাষ সম্পর্কে অবগত হন। করোনা পরিস্থিতিতে দেশে ফিরে বসে না থেকে তিনি ফলবাগান করার কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে তুরস্কের বন্ধুর মাধ্যমে সেখান থেকে আনা ছয় মাস বয়সী ৬০০ চারা রোপণ করেন ২ বিঘা জমিতে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চারা রোপণের তিন মাসের মধ্যে ফল ধরেছে গাছগুলোতে। বেলে-দোআঁশ মাটিতে জৈব ও ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রয়োগে নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যার মাধ্যমে গাছগুলো বেড়ে উঠছে। প্রতিটি পাতার গোড়ায় গোড়ায় সবুজ ত্বিন ফল, যা পাকলে লাল, খয়েরি বা মেরুন রং ধারণ করবে।

এরই মধ্য দিয়ে বগুড়ায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যের ত্বিন ফল চাষ শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক চাষে সফল হওয়ায় প্রান্তিক কৃষক পর্যায়ে এ ফলের চাষ ছড়িয়ে দিতে চান তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এ ফলটি ঔষধি গুণসম্পন্ন এবং স্বাদে মিষ্টি। ডুমুর আকৃতির ত্বিন গাছে ফল আসতে শুরু হওয়ায় দৃষ্টি কেড়েছে স্থানীয়দের। এলাকায় প্রথমবার চাষ হওয়ায় তরুণ উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বেড়েছে। প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদানসহ এ ফলের বাণিজ্যিকভাবে চাষের প্রসার হবে বলে কৃষি বিভাগ প্রত্যাশা করছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর হর্টিকালচার সেন্টার বগুড়ার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবদুর রহিম জানান, বগুড়ায়ও বাণিজ্যিক আকারে চাষ শুরু হয়েছে। গাছের বৃদ্ধি ভালো, ফলনও আসছে।

শাজাহানপুর নবীন এগ্রো লির স্বত্বাধিকারী তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা সোয়েব সাদিক নবীন বলেন, চাকরির পেছনে ঘুরে হতাশ না হয়ে তরুণ যুবকদের স্বনির্ভর হতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অনেক টাকা খরচ করে বিদেশে না গিয়ে দেশেই ভালো কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। ত্বিন ফলসহ বিভিন্ন বিদেশি ফল চাষ করে স্বনির্ভর হওয়া সম্ভব।

শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরে আলম জানান, আড়িয়া এলাকায় ত্বিন ফলের চাষ হয়েছে, গাছের বৃদ্ধি ও ফলন ভালো হয়েছে, ফল বিক্রির পাশাপাশি চারাও বিক্রি হবে। কোনো উদ্যোক্তা বা কেউ চাষ করতে চাইলে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

 

সর্বশেষ খবর