শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ঝুলে আছে সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের ফল ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোট গ্রহণের দুই সপ্তাহেও ঘোষণা করা হয়নি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল। সম্পাদক পদে একজন প্রার্থীর পুনরায় ভোট গণনা চেয়ে করা আবেদন এবং নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়কের পদত্যাগের ফলে ফলাফল ঘোষণা সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বারের ২০২২-২৩ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত ১৫ ও ১৬ মার্চ ভোট গ্রহণ হয়। এরপর ১৭ মার্চ রাতে ভোট গণনা শেষ হয়।

আইনজীবীরা বলছেন, অতীতে দুই পক্ষের সম্মতিতে পুনরায় ভোট গণনার নজির থাকলেও নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়কের পদত্যাগ সমিতির ইতিহাসে প্রথম। ভোট গ্রহণ শেষে দুই সপ্তাহেও ফলাফল ঘোষণা না করার ঘটনা অতীতে দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বুধবার বিকালে বৈঠকে বসে সমিতির বর্তমান কমিটি। জটিলতা নিরসনে অভিভাবক হিসেবে সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে কার্যকরী কমিটি প্রত্যাশা করে, সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকেরা পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে একত্রে বসে এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করবেন। সমিতির সহসভাপতি মো. জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সমিতির সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির ১৩ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দাবিতে গতকালও বার প্রাঙ্গণে পৃথক কর্মসূচি পালন করেছেন দুই পক্ষের আইনজীবীরা। ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা এবং ভোটের ফলাফল ঘোষণা নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ককে হেনস্তাকারীদের বিচার দাবিতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা কর্মসূচি পালন করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ভোট গ্রহণের পর ফলাফল ঘোষণা না করার মানে ভোটারদের অসম্মান করা। এবার যেটা হচ্ছে, তা নজিরবিহীন। এর আগে এমন ঘটনা দেখিনি।  দুই দিন ভোট গ্রহণের পর গত ১৭ মার্চ রাতে শেষ হয় ভোট গণনা। জানা গেছে, সেদিন সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ভোটে এগিয়ে ছিলেন। সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত নীল প্যানেলের প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস (বর্তমান সম্পাদক) তার প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে কিছু ভোটে এগিয়ে ছিলেন। ওই রাতে একপর্যায়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সাদা প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী আবদুন নূর পুনরায় ভোট গণনা চেয়ে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির কাছে আবেদন করেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পরদিন জানা যায় নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মসিউজ্জামান সমিতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এর পর থেকেই মূলত ভোটের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর